সারা মেরিয়ানে-অপুর গল্পটা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম—ফেসবুকে। গল্পের বর্তমান পরিস্থিতি হলো, দুজনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। বিয়ের এ আয়োজন চলে বরিশাল নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রিস্টানপল্লীতে।
সারা মেরিয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। মিনেসোটার একটি বৃদ্ধাশ্রমের সেবিকা হিসেবে কাজ করেন। আর রংমিস্ত্রি মাইকেল অপু মণ্ডল নগরীর কাউনিয়া প্রধান সড়কের খ্রিস্টান কলোনির বাসিন্দা। এরই মধ্যে দুজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মুরতজা আবেদীন জানান, গত বৃহস্পতিবার সারা মেরিয়ানে ও অপুর মধ্যে আংটি বদল হয়। এ উপলক্ষে অপুর পরিবারের উদ্যোগে ক্ষুদ্র পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রেমের টানে মার্কিন নারীর এভাবে বরিশালে চলে আসা এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের অপুকে বিয়ে করায় স্থানীয়রা খানিকটা অবাকই হয়েছেন।’ অপু জানান, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফেসবুকে একটি বিতর্ক (ডিবেট) গ্রুপের মাধ্যমে সারার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। এরপর নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাঁদের। কথা হতো ভিডিও কলে। কথা বলতে বলতে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেন। ভিডিও কলে উভয় পরিবারের সদস্যরাও কথা বলেন। মাস দুয়েক আগে সারা ও অপু পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আর গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন সারা। স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক সুমারুৎ মণ্ডল জানান, দুজনই খ্রিস্টান। এরপরও বাঙালির রীতি মেনে গত বুধবার তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সারা শাড়ি পরেছিলেন। তিনি ভাঙা ভাঙা বাংলাও বলতে পারেন। সারা জানান, অপুর পরিবারের সবাইকে তাঁর ভালো লেগেছে। বরিশালের প্রকৃতি দেখেও তিনি মুগ্ধ। আগামী ২৭ নভেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন। পরে এসে নিয়ে যাবেন অপুকে।