কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে বুফে খাবারের প্রস্তাব কার না ভালো লাগে! অনেক ধরনের খাবারের স্বাদ নেয়া যায়। বেশ আনন্দ নিয়েও খাওয়া যায়। ইচ্ছেমতো খেতেও মানা নেই।
কেবল বুফে খাবারই নয়, রেস্টুরেন্টে গিয়ে যেকোনো খাবার আসলে নিশ্চিন্তে খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, যেনতেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভোজন উচিত নয়। এমনকি আস্থাভাজন নয় এমন জায়গায় গিয়ে ভুঁড়িভোজও এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে এসব স্থানে গেলে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার কেবলমাত্র চেনা-জানা এবং নির্ভরযোগ্য রেস্টুরেন্টেই খেতে হয়। তালিকাটা দেখে নিন।
স্প্রাউট
খাবারের তালিকায় সবুজ থাকা ভালো। কিন্তু বুফেতে কিংবা যেকোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে স্প্রাউট থেকে দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে জন্মানো সতজে সবুজ খাওয়া দরকার। সাধারণত রেস্টুরেন্টে যেগুলো আসে তা কোনমতে স্যাঁতস্যাতে পরিবেশ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। কাজেই তারা অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।
সুশি
আমাদের দেশে অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যারা সুশি তৈরি করে। এটা এমন এক খাবার যার জন্যে মানুষ হয় পাগল নয়তো দু’চোখে দেখতে পারেন না। সুশি মানসম্পন্ন সামুদ্রিক খাবার দিয়ে বানাতে হয়। আবার সব শেফ সুশিতে দক্ষও নন। এ কারণে নির্ভরযোগ্য কোনো রেস্টুরেন্টেই এটা খাওয়া উচিত।
ভাজা-পোড়া
এমনিতেই এসব খাবার খেতে নিরুৎসাহিত করেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু এগুলো মুখরোচক। তাই কেবল ভালো মানের রেস্টুরেন্টে গিয়েই খাওয়া উচিত। টাটকা উপকরণ এবং ভালো তেলে ভাজা হলে তা ক্ষতিকর হবে না।
মায়ো দেয়া সালাদ
সালাদ সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু বুফেতে গেলে বা রেস্টুরেন্টে বসলে মায়ো দেয়া সালাদ মিলবে। মায়ো ভালো না হলে খাদ্যজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এটা ক্যালোরিতেও পূর্ণ। তাই আস্থা রাখা যায় এমন রেস্টুরেন্টে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন।
মিষ্টি রেভারেজ
এগুলো এমনিতেই ক্ষতিকর। তবে ফলের জুস স্বাস্থ্যকর। কিন্তু খাবারের জায়গা ভালো না হলে ক্ষতিকর চিনিতে পূর্ণ ফলের রস না খাওয়াই উত্তম হবে। ভালো রেস্টুরেন্টে চিনি বা মিষ্টি উপাদান ছাড়া কেবলমাত্র ফলের রসের অর্ডার করবেন।
ড্রেসিং
অস্বাস্থ্যকর মায়োপূর্ণ সালাদ আর ক্রিমপূর্ণ ড্রেসিংয়ের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কাজেই তা নির্ভরযোগ্য রেস্টুরেন্ট ছাড়া যেখানে সেখানে খাওয়া উচিত নয়। ড্রেসিং করা সালাদ এড়িয়ে যান।