কারাগারে গত ২৭ নভেম্বর সকালে পটিয়ায় আলোচিত চুমকি হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অধিকতর তথ্য জানাতে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার সিটিজি ক্রাইম টিভির সাংবাদিক সাহেদুল ইসলাম সাগর ও সিনিয়র সাংবাদিক রতন বড়ুয়াকে ফোন করে থানায় যেতে বলেন।
সাংবাদিকগণ দুপুরে থানায় যাওয়ার পর ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার তাদেরকে অফিসার ইনচার্জ নেয়ামত উল্লাহর রুমে নিয়ে যান।তারপর সরকার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সিটিজি ক্রাইম টিভিকে ভুয়া বলে আখ্যায়িত করে সাংবাদিদের নির্যাতন করেন, এবং তাদের সাথে থাকা সাংবাদিক পরিচয়পত্র, চ্যানেলের মাইক্রোফোন, মোবাইল, মানিব্যাগ ও তাদের বহনকারী গাড়ী প্রভোবক্স জিএল ব্যান্ডের (চট্টমেট্রো-গ ১২-৬৫৮২) জব্দ করে।এরপর স্থানীয় কয়েকজন কথিত সাংবাদিকের সহযোগিতায় ২০ হাজার টাকার চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ,আজ বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আজগর আলি মানিক জানান, আমার প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পটিয়া থানার ওসি মিথ্যে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।আমি আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উল্লেখ্য গত ১৪ নভেম্বর শ্বশুড়বাড়িতে গৃহবধু চুমকির গলায় ফাঁস দেয়া লাশ পাওয়া যায়।চুমকির পরিবারের দাবি তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড চালায়।তাই তার পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয় নি।এ ব্যাপারে সিটিজি ক্রাইম টিভি তে একটি প্রতিবেদন ১৯ নভেম্বর প্রকাশ পায়। তারপর আদালতের নির্দেশে পুলিশ হত্যা মামলা নেয়।