চৌদ্দগ্রামের মানুষের জন্য দূর্ভাগ্য এখানে একজন স্বাধীনতা বিরোধী নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে-রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক

0
638

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, চৌদ্দগ্রামবাসীর জন্য দূভাগ্যের বিষয় হলো এখানে একজন স্বাধীনতা বিরোধী নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। যারা বাংলাদেশ সৃষ্টি হোক চায়নি, যারা এখনো এ দেশকে মেনে নিতে পারেনি। তেমনই একটি দলের নেতা আজ চৌদ্দগ্রামবাসীর নিকট ভোট চাইতে আসছে আর এই রাজাকারের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়া। পরবর্তীতে তাদের প্রতিষ্ঠিত করে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়া। এই দেশদ্রোহীরা দেশের কল্যাণে কখনোই কোন কিছু করেনি।

মন্ত্রী ১৬ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী চৌদ্দগ্রামের ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে চৌদ্দগ্রামে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা কুমিল্লা জেলায় সর্বোচ্চ। কারণ আমি নির্বাচিত হয়ে মানুষকে ভুলিনা মানুষের পাশে থেকেই কাজ করি। আমার নেতাকর্মীরা কোনদিন এলাকার মানুষের কাছে লজ্জিত হতে হয়নি। আমার নেতাকর্মীরা মানুষের নিকট ভোট চাইতে গেলে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারে আমি কি কি করেছি মানুষের কল্যাণে। আর আমার সাথে যে নির্বাচনে এসেছে সে মানুষের কল্যাণে করেছে এমন কোন কাজ দেখাতে পারবেনা।উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান রাশেদা আখতার, এডভোকেট ড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল প্রমূখ।
মন্ত্রী আরো বলেন, যারা নির্বাচিত হলে দেশের সম্পদ লুটপাট করে তাদের বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে। কারণ এর বসন্তের কোকিলের মতো ভোটের সময়ই শুধু মানুষের কাছে আসে। নির্বাচিত হওয়ার পর আর জনগণের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনা। যার প্রমাণ চৌদ্দগ্রামে যে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের দোসর নির্বাচন করতে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তিনি গত ১০ বছর চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি চৌদ্দগ্রামের মানুষের কোন বিপদ এগিয়ে আসেনি। এখন নির্বাচন এসেছে তাই মাঠে নেমেছে, মাঠে নামার সাথে সাথে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে। তবে চৌদ্দগ্রামবাসী অনেক সচেতন ২০০১ সাল আর ২০১৮ সাল এক নয়।
আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী চৌদ্দগ্রাম বাজারের বিভিন্ন সড়কে লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগের মধ্যমে ভোট চান এবং পৌরসভার জয়ন্তিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 5 =