অবি ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ২২ আসনে ছিল জামায়াতে ইসলামী। আর এই ২২ আসনের জন্য ভোটে এতো বড় পার্থক্য হতে পারে না। জামায়াতকে ২২টি সিট দেওয়া হয়েছে, যা পরে জানা গেছে। এরজন্য এতো বড় তফাৎ হওয়ার যুক্তি নেই। ভোটে জামায়াতের অংশগ্রহণ ছিল বলে তরুণ প্রজন্ম ঐক্যফ্রন্টকে প্রত্যাখ্যান করেছে কি না- জানতে চাইলে সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি এ কথা বলেন।
কামাল হোসেন বলেন, এ দেশে স্বৈরতন্ত্রকে কোনভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যাবে না। যতোই অস্ত্র-অর্থ ব্যবহার কিংবা জালিয়াতি করা হোক। জনগণকে বেশিদিন স্বৈরতন্ত্রের অধীনে রাখা যাবে না। এ থেকে আমরা মুক্ত হবো। এর প্রতিবাদ হবে, হবে প্রতিরোধ। তিনি বলেন, জনগণ ভোটের ফলাফল নিয়ে অত্যন্ত মর্মাহত, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জনগণ পরিবর্তনের আশায় ভোট চেয়েছিল। সকল ভবিষ্যতদ্বানী পালটিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা-মানুষকে অবাক করেছে।
সরকার গেল ৫ বছর খুবই বিতর্কিতভাবে ক্ষমতায় ছিল। ওইসময় ইলেকসন হয়নি, হয়েছে সিলেকশন। ৩০ ডিসেম্বর আমরা মুক্ত হবো বলে মানুষকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছি, কিন্তু একই জিনিসের শিকার হচ্ছি। স্বৈরতন্ত্রকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দাবি করে ফ্রন্ট প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতারক। তাদের এই প্রতারণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বর্ণপদক পাওয়া উচিত। ভোটের আগের রাতেই ভোট। যার প্রমাণ সবাই দেখেছে।
আমরা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ফের নির্বাচন চাইছি। বিএনপির মধ্যে বিভক্তি থাকায় এমন ফলাফল কি না- জানতে কামাল হোসেন বলেন, আমি বিএনপি করি না। আমি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের এসব বলতে পারবো না। হতেও পারে। তবে গোটা দেশের জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ- তা পরিলক্ষিত হয়েছে।