রাজধানী ঢাকা শহড়ের ব্যস্থতম এলাকার মধ্যে অন্যতম মহাখালী বাস ষ্টান। মহাখালী টাংগাইল বাস ডিপো থেকে প্রতিদিন শত শত গাড়ী মহাখালী হয়ে উত্তর অঞ্চলে যাতায়াত করে।
তাই মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে, রেললাইন পার হয়ে মহাখালী থেকে উত্তরা, এয়ারপোর্ট, মহাখালী হয়ে গুলশান-১, গুলশান-২ যাতায়াত করে, ফলে মহাখালী রেললাইনের অাশ পাশে রাস্তাগুলো সব সময়ই ব্যাপক যানজট লেগেই থাকে। কর্তব্যরত অাইন শ্রিংখলা বাহিনী সার্জেন, ট্রাফিকের কাজ হচ্ছে যানজট মুক্ত করা। তা না করে তারা ব্যস্ত মোটর সাইকেল, সিএনজি আর মাল বোঝাই পিকাপ ধরতে। যাদের সব ধরনের কাগজপত্র, হেলমেট সবই আছে তাদেকেও থামিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুমন অাহম্মেদ পাঠাও রাইট শেয়ারিং করেন তার ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন, ব্লুবুক, ইন্সুরেন্স সব কিছু দেখানোর পরেও তাকে বিভিন্ন অজুহাত ধরে মামলা ভয় দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ২০০ টাকার খেয়ে ছেড়ে দেন। সুমন সিগনাল অতিক্রম করে অাসতে গাড়ির গতিরোধ করি এবং তার কাছে জানতে চাই যে, এতক্ষন আপনার সাথে সার্জেন এর কি নিয়ে সমস্যা হল। তিনি বলেন অামার কাগজপত্র সবই ঠিক তারপরও অামায় থামিয়ে সার্জন শাহিন অজুহাত দারকরিয়ে ২০০টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। অামিতো পাশেই ছিলাম কই? আপনাকেতো টাকা দিতে দেখলাম না? কাগজের ব্যাগের ভিতর ভরে দিয়ছি। সুমনকে ছেড়ে দিয়ে আমরা ফুটওভার ব্রিজের উপরে উঠে কৌশলে সার্জেন শাহিন এর কার্যক্রম পর্যোবেক্ষন করতে থাকি। পর্যোবেক্ষনে দেখা যায় সিভিলে সার্জেন শাহিনের ৪/৫ গজ দুরে দাড়ানো লোকটির কাছে বিভিন্ন বাসের হেলপাররা গুজে টাকা দেন। ট্রাফিকদয় সিগনাল দিলেই হেলপাররা এসে তার হাতে টাকা গুজে দেন। একটি গাজিপুর বলাকা গাড়ির দিকে নজর রাখি। একি অবস্থা দেখে দৌড়ে গাড়িটায় উঠেপরি একটু সামনে গিয়ে হেলপারকে বললাম বক্সের সামনে দাড়ানো লোকটিকে কিসের টাকা দিলেন? আরে ভাই উনি পুলিশের লোক টাকা না দিলেই মামলা। দেখলে না? ট্রাফিকে সিগনাল দিলো?। অাবারো কৌশলে বক্সের অাশে পাশ নজর রাখলাম। ট্রাফিকের গাড়ি দাড় করানো আর সার্জনদের কর্মকান্ড দেখতে থাকলাম। এতক্ষন সিভিলে যে ব্যক্তি টাকা নিচ্ছিলো তার পিছু নিলাম। রেললাইন পার হয়ে পশ্চিম পাশে অনেকগুলো চায়ের দোকান। লোকটি দোকানে বসলে তার পাশে আমিও সবলাম। চা খেতে খেতে এক পর্যায়ে লোকটির তাকিয়ে তার নাম জানতে চাইলাম। সে নাম বলতে নারাজ। আমি পকেট থেকে আইডি কার্ডটি বের করে দেখালাম বল্লাম এতক্ষন যে গাড়ির হেলপাররা আপনার কাছে টাকা গুজে দিলো এগুলো কিসের টাকা? সে বলল এটাকা টি আই দেলোয়ার ভাইয়ের আমার না। আমাকে দিয়ে উঠানো হয়। আপনারমত আর কতজন আছে যারা টাকা কালেকশন করে? আছে আরো। কাচাঁ বাজারের সামনে, টাঙ্গাইল বাস স্টান্ডের রাস্তায়, রেললাইনে এই আরকি।