শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে পাগলা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনবরত বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাবসহ হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের জগন্নাথপট্রি গ্রামের মৃত-জলিলমুন্সীর মেয়ে ভূক্তভোগী সাহিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৭ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের মৃত-আব্দুর সাত্তারের ছেলে বিল্লাল হোসেন এর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর সাহিদা জানতে পারে, তাকে বিয়ে করার পূর্বে বিল্লাল আরো প্রায় ৩/৪ টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের কথা যেনেও মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে সংসার কর ছিলেন তিনি।
কোন কাজ কর্ম না করলেও বিয়ে পাগল বিল্লাল উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের মিনি, মায়া,ফরিদপুরের লিলি, ভাগ্যকুল বাগান বাড়ির আখিঁ, মুন্সীগঞ্জ তালতলার পারভীন, মোকসেদপুরের হেলনা, মোহাম্মদপুরের আদুরি, মুক্তা,গাইবান্ধার পপি, ঢাকা কেরানীগঞ্জের শান্তা, সাভারের মান্তাপাড়ার রাজিয়া, গাবতলির নাহিদা,মাওয়ার লিপিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২৫/২৬ টি বিয়ে করেন। সাহিদা আরো জানায়, হঠাৎ একদিন তার স্বামী বিল্লাল তাকে এক ব্যক্তির সাথে রাত্রি যাপন করতে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে সাহিদার সাথে স্বামী বিল্লালের তুমুল ঝগড়া বাঁধে। স্বামী পরপুরুষের সাথে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব করায় সাহিদার বুঝতে বাকি থাকেনা। তার স্বামী বিল্লাল হোসেন কাজ কর্ম না করলেও তার মূল ব্যবসা ও একাধিক বিয়ে করার কারন সমন্ধে। এক পর্যায়ে স্বামীর এহেন ঘৃন প্রস্তাবে সাহিদা আক্তার প্রায় ১ বছর পূর্বে তাকে তালাক দেয় বিল্লালকে। মাদরাসায় পড়–য়া ছেলে শুভ ও নিজের পেট চালাতে বালাশুর মোল্লা মার্কেটে অনামিকা বিউটি পার্লার নামে একটি পার্লারের ব্যবসা দেন তিনি। বিল্লালের একাধিক বিয়ে করার কারন ও অপকর্ম যেনে ফেলার দীর্ঘ দিন ধরে সাহিদা আক্তারকে পূনরায় বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে আসছে বিল্লাল। এতে সাহিদা রাজি না হওয়ায় পার্লারে যাতায়াতের পথে বিল্লাল তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, বিল্লাল তার অপকর্মের সহযোগী বেশ কয়েক জন বন্ধুদের দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক মোবাইল নাম্বার দিয়ে সাহিদাকে কু-প্রস্তাব ও নানা ধরনের হুমকী দিয়ে আসছেন বলে জানায় ভূক্ত ভোগী সাহিদা আক্তার। বিল্লালের বিভিন্ন ধরনের হুমকি বিষয়ে সাহিদা আক্তার বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুচ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুন্সীগঞ্জ একটি মিটিংয়ে এসেছি। থানায় গেলে অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে পারবো। এ ব্যাপারে এস আই ফরিদ হোসেন এর কাছে জানতে চইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্ত করছি।