ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী

0
658

অবি ডেস্কঃ দেশে ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রয়োজন না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিত না। তাদের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) হয়তো বিশ্লেষণ আছে, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে এবং সেই প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি এখনও আলাপ করিনি, গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করলে ভালো তথ্য পাব।

 

সোমবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকগুলো হল- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২টিতে।

নতুন করে বেসরকারি ব্যাংক অনুমোদনের বিপক্ষে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। কিন্তু নতুন সরকার দায়িত্ব আসার কিছুদিনের মধ্যেই কেন ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ল?

এই প্রশ্নের জবাবে নতুন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়টা ব্যাংক আছে, এটা বড় ব্যাপার না। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, নিয়মনীতি মেনে চলে, তাহলে তো সংখ্যায় কিছু আসে যায় না। ব্যাংকের কার্যক্রম যদি থাকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক করা, কাস্টমারদের যদি সার্ভিস দিতে পারে এবং নিয়মের মাঝে দিতে পারে, তাহলে ইন দ্যাট কেইস নম্বর নিয়ে আমি চিন্তিত না।

তিনি আরও বলেন, ‘৫০টি না করে আপনি বড় একটা করেন, সেই একই কথা হল। আমি মনে করি, নম্বর দিয়ে না, আমাদের চাহিদা আছে কি না, যদি চাহিদা নিরূপণ করে এটি করা হয়ে থাকে, ইন দ্যাট কেইস ফাইন। আমার বিশ্বাস, সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই কমপ্লিটলি একটা স্টাডি করে সেই স্টাডির ভিত্তিতেই কাজটি করেছেন।’

নতুন ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে পেইড আপ ক্যাপিটাল ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করায় সমর্থন দেন তিনি, ‘আস্তে আস্তে যদি তারা বাড়িয়ে নেয় দ্যাট কেইস সেক্টরটা বড় হয়, আমার মনে হয়, সেই উদ্দেশ্যেই তারা করেছেন। স্লোলি বা গ্রাজুয়ালি বাড়াতে পারে ইন দ্যাট কেইস সেটা ভালো হবে।’

খেলাপি ঋণকে (ক্লাসিফাইড লোন) ব্যাংকের সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লোনগুলা কীভাবে খেলাপি হয়েছে তা দেখতে শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করা হবে। খেলাপি ঋণ আশির দশক থেকে হয়ে আসছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যত বেশি হয় ব্যাংকের সুদ বেড়ে যায়, স্প্রেডও (ঋণ ও আমানতের সুদের ব্যবধান) বেড়ে যায়, এগুলো কমাতে হবে। সেজন্য খেলাপি ঋণে হাত দিতে হবে। দেখতে হবে কীভাবে খেলাপি হল।

ব্যাংক মার্জার (একাধিক ব্যাংক একত্রিত করা) করার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্জার করার যদি প্রয়োজন হয়, তবে করা হয়। এখন তো ব্যাংকগুলোকে আমরা কিছু কথাবার্তা বলছি। তাদের কিছু শর্ত দেয়া হবে, তারা কীভাবে পারফর্ম করবে, কীভাবে খেলাপি ঋণ, ক্লাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসা হবে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ক্লাসিফাইড লোন। ক্লাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে ব্যাংকগুলোকে একটা অবস্থান সৃষ্টি করে দিতে হবে যে, তারা এটা কীভাবে করবে। আশির দশক থেকে ক্লাসিফাইড লোন হয়ে আসছে।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + 13 =