সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন একটি চক্র সুকৌশলে একটি পরিবারকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করার চেষ্টা করে। এমন কলংকজনক অপবাদ সহ্য করতে না পেরে দিসেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। খবরটি গনমাধ্যম কর্মীরা জানান পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য এসআই দিলীপ কুমারকে নির্দেশ দিলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
পরে এসআই দিলীপ কুমার প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেন চুরির বিষয়টি মিথ্যা। এতে করে অসহায় পরিবারটি কুচক্রি মহলটির করা মিথ্যা অভিযোগ থেকে কিছুটা রক্ষা পান । জানা যায়, পৃর্ব পাইনাদী সিআই খোলা মৃত সরাফত উল্যাহ’র বাড়ীর ভাড়াটিয়া মহসিন। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার দুই মেয়ে স্কুল টিচার। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাদের পাশের প্রতিবেশী নারী গামেন্টর্সকর্মীর সাথে তাদের গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। হঠাৎ করে পাশের গার্মেন্টসকর্মী বলে তার ২৫ হাজার টাকা বাসা থেকে চুরি হয়েছে। সিআই খোলার টাউট মাতবরদের পরামর্শে গার্মেন্টসকর্মী মহিলাটি কোন এক হুজুরের কাছ থেকে চাল পড়া আনে। চাল পড়া গুলো তার সন্দেহের লোকদের খাওয়ানো হয়। যার টাকা চুরি হয়েছে সেই মহিলা সাজেদা তার স্বামী, ভাই, ভাগিনা এবং পাশের প্রতিবেশীকে চাল পড়া খাওয়ান। চাল পড়া খাওয়ানোর পর টাউট মাতবররা বলেন তোমাদের চাল খেতে এত দেরি হলো কেন? তাই তোমরা চার জন্য সমান ভাগে টাকা দিবা। প্রতিবেশী মহসিন টাউট বিচারকদের কাছে জানতে চায় আমি চাল পড়া খেলাম তার পরেও আমি কেন টাকা দিবো? তখন চক্রটি বলে তোমার চাল খেতে অনেক সময় লেগেছে তাই তুমি ৭ হাজার ৫ শত টাকা দিবা। টাকা না দিলে তোমার খবর আছে। মিথ্যা চুরির অপবাদ যখন পুরো পরিবারে উপর আসলো ঠিক তখন থেকেই তার পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। টাকার জন্য একের পর এক হুমকি দিচ্ছে ভন্ড বাটপার বিচারক নামের কলংকরা। এসব ভন্ড বাটপাররা সবসময় সাধারন মানুষকে এই ভাবে ব্ল্যাকমেইল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মহসিন বলেন, আমাদের প্রতিবেশীর সাথে আমাদের একটু বিরোধ চলছে। গত মাস খানেক আগে হঠাৎ করে পাশের প্রতিবেশী সাজেদা বলে তার নাকি বাসা থেকে ২৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। পরে মহিলাটি এলাকার কয়েকজনের কাছে গিয়ে যুক্তি পরামর্শ করে। পরে মহিলাটি তার স্বামী, ভাই, ভাগিনা এবং আমাকে চাল পড়া খাওয়ান। আমি আমার চাল সঠিক ভাবে খেলেও বিচারকরা বলেন তোমাদের চাল খেতে এত দেরি হলো কেন? মাতবররা বলেন তোমার চারজন সমান ভাগে আমাদের কাছে টাকা দিবা। তা না হলে খবর আছে। মহসিন জানতে চায় তিনি কেন টাকা দিবে উত্তরে আসে টাকা দিবি আর কোন কিছু শুনতে চাইনা। তিনি আরো বলেন, টাকা টা বড় কথা নয় আমি যখন মিথ্যা চুরির অপবাদ পেলাম ঠিক তখন মন চেয়েছে আমি এই দুনিয়া থেকে বিদায় নে। পরে ঘটনাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে আমাকে আইনি ভাবে সহযোগীতা করেন। এজন্য আমার পরিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং যারা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে আমি চক্রটির বিচার দাবী করছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম বলেন, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। কেউ যদি মিথ্যার বলে কাউকে হয়রানি করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোন ধরনের অপরাধ আমরা সহ্য করবো না, সেই যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন। এদিকে এ ধরনের মিথ্যা চুরির ঘটনার হাত থেকে একটি পরিবারকে রক্ষা করায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলামসহ সকল পুলিশ সদস্যদের সাধুবাদ জানান এলাকাবাসী এবং দোষীদের শাস্তি কামনা করেন।