ভায়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বেঁচে গেলো এশিয়া। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে এমন আশঙ্কাজনক তথ্যই উঠে এলো পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন থেকে।
ইসরাইলি সহযোগিতা নিয়ে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল ভারত। তবে পাকিস্তানের পাল্টা জবাবের খবর আগেই পেয়ে হামলা থেকে বিরত থাকে ভারত। রাজস্থানের বিমানঘাঁটি থেকে দেশটির বিমানবাহিনী থেকে ইসরাইলি সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনা করে। সোমবার এটি সরকারের সূত্র থেকে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সঠিক সময়ে গোয়েন্দা ও গোপন সূত্রের খবরে ভারত জানতে পারে পরিকল্পিত আক্রমণে গেলে হামলার যথাযথ জবাব দেবে পাকিস্তান। এতে বলা হয়, এমন একটি দেশ যেখানে হামলা করলে ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই। প্রতিবেশী পারমাণবিক অস্ত্রক্ষমতাসম্পন্ন দেশ দুটিতে চলতি সপ্তাহে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। যা দুই দশক ধরে যুদ্ধ পরিস্থিতে ছিল। দেশ দুটিতে যুদ্ধ হলে এর তীব্রতা কেমন হবে যা কেউই জানে না। শীর্ষ একটি বেসামরিক সূত্র জানায়, ভূমি, আকাশ বা ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ভারতের সম্ভাব্য তীব্রতা নয়, মূলত পাকিস্তানের প্রতি ভারতের শীর্ষ সমস্যা জঙ্গি হামলা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মোকাবেলা। ১৯৭১ সালের পরে প্রথমবারের মতো গত মঙ্গলবার ভারত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরে পাকিস্তান জানায়, ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করে। পরে তাকে শান্তির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান ও ভারত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পাক আইএসপিআর প্রধান মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা সংযমের কৌশল হিসেবে চুপ ছিল, তবে আমাদের সতর্কতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। একটি শীর্ষ সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় সংকটে আছেন। আগামী মে মাসে ভোট। এই ভোট পরিস্থিতি ধরতে তিনি মরিয়া। পাকিস্তানের হামলা নিয়ে ওই সূত্র সাংবাদিকদের জানায়, ইসরাইলি সাহায্য নিয়ে ভারত রাজস্থানের বিমানঘাঁটি থেকে পাকিস্তানে ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনা করে। আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সময়মতো ভারত গোয়েন্দা ও গোপন তথ্য পেয়ে যায় যে, হামলা করা হলে এর পাল্টা জবাব দেয়া হবে। এমন একটি দেশ যেখানে আক্রমণে গেলে ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই। ওই সূত্রটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীকে (আইএসআই) কৃতিত্ব দেয় যে, বিশ্বের মধ্যে এটি একটি ভালো সংস্থা। ভূমি, আকাশ অথবা ক্ষেপণাস্ত্র নয় পাকিস্তানের প্রতি ভারতের পরবর্তী সমস্যা তীব্র জঙ্গি হামলা ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে। প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪৯ জন সদস্য নিহত হন। এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ হামলার জেরে গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করেছে দেশটি। এখানেই থেমে নেই, গত বুধবার পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন পাকিস্তানি সেনারা। এ সময় ভারতীয় এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। পরে শান্তির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দি পাইলটকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে।