পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরধর্ম কী, তা জানতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
গুগলে এ নিয়ে নিয়মিত সার্চ করছেন বিজেপির সদস্যরা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে ভালো ফল করতে মরিয়া বিজেপি। দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে তাই প্রায়ই তর্জনগর্জন করে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। ২২-২৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গুগলে সার্চ করলে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ–সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের খোঁজ পাওয়া যাবে। মমতা জন্মসূত্রে হিন্দু কি না বা তিনি কোন ধর্মে বিশ্বাস করেন, এমন প্রশ্ন রয়েছে গুগলে। মমতা জন্মেছেন হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে। তাই তিনি সব সময় বলেন, ‘আমি প্র্যাকটিসিং হিন্দু’। তিনি বাড়িতে কালীপূজা করেন, চণ্ডীর মন্ত্র তাঁর মুখস্থ। তবে তিনি সাম্প্রদায়িক ভাবধারা থেকে অনেক দূরে। গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া রাজ্যের প্রথম হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখানে তিনি বিজেপির আগ্রহকে খোঁচা দেন। বলেন, ‘বিজেপির লোকেরা গুগল সার্চে গিয়ে আমার ধর্ম কী, তা জানতে চাইছে? এরপরেই তিনি খোলাখুলি বলেন, ‘বিজেপির লোকেরা জেনে রাখুন, আমার ধর্ম মানবধর্ম। যা বিজেপি বিশ্বাস করতে পারবে না।’ গত বছর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের উদ্দেশে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল, ‘পৈতেধারী রাহুল গান্ধীর গোত্র কী?’ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র শতকরা ভোট বাড়লেও, মেরুকরণ হলেও, জনসমর্থনের বিচারে পশ্চিমবঙ্গে মমতার দাপট কমানোর প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ বললেও কম বলা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, হিন্দু হলেও বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ডিএনএ প্রায় নেই। এই কারণেই, চেষ্টা করেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শহরে খাতা খুলতে বহুবার ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি সরকার।