ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, ক্রাইম রিপোর্টার:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের চকবাজার বাকলিয়া এলাকায় ২টি অবৈধ ভবনের খোঁজ পেয়ে প্রতিবেদন নিয়ে আসতে যায় সিটিজি ক্রাইম টিভির ক্রাইম সার্চ এর টিম, ২টি ভবনের একটির মালিকের নাম জমির টিটু, আরেকটির মালিকের নাম নুরুল আমিন,
প্রতিবেদন তুলে আনতে গিয়ে শুধু অবৈধ ভবন নির্মাণ নয়, দেখা যায় চট্টগ্রাম সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম বিক্রি করে অপশক্তি দেখানোর দৃশ্য,
জানা যায় ভবনের মালিক জমির টিটু একজন গার্মেন্টস কর্মী, বাংলাদেশ ইমারত ভবন নির্মান বিধিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, গ্যাস ওয়াসা ও বিদ্যূত বিভাগের ছাড়পত্র দেখাতে বললে তিনি তৎকানিক কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি,
ইউনুছ কলোনীতে প্রবেশ করলেই দেখা মেলে চোখে পড়ার মত 6তলা বিশিষ্ট ভবন 2টি, ক্রাইম সার্চের টিম মুঠোফোনে টিটু’র সাথে যোগাযোগ করলে সে চট্টগ্রামের বাহিরে আছে বলে জানান, এবং সাংবাকিদের উপস্থিতি ক্লোসড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেলে তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হাসান মোহাম্মদ হাসনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে অবগত করেন বলে জানান,
তার ভবন নির্মাণের ডকুমেন্ট দেখাতে বললে, সে কৌশল অবলম্বন করে বলে সকল ডকুমেন্ট তার গ্রামের বাড়িতে আছে বলে জানান, একটি বৈধ ভবনের ডকুমেন্ট কিভাবে অন্য জায়গায থাকে সে বিষয়ে জানতে চাইলে, টিটু, কোন উত্তর দিতে পারেনি।
আরো জানা যায়, নগরীর বাকলিয়া এলাকার ইউনুছ কলোনিতে গড়ে এসব ভবন নিয়ন্ত্রিত হয় বিএনপি’র ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের অর্থ সম্পাদক হারুন সওদাগরের নিয়ন্ত্রনে, বাড়ির মালিক জমির টিটু শুধু একটি ভবন নির্মান নয় রয়েছে একটি টিন সিটের পাকা বাড়ি ও্ ৩টি জায়গা, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় একজন গার্মেন্টস কর্মী হয়ে এরকম বিলাসবহুল বাড়ি ও ৩টি জায়গা করলো কিভাবে।