সংসদে সালাম দিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

0
644

অবি ডেস্ক: মসজিদে হামলার ঘটনা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়লেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিয়ে স্পিকারকে সালাম জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর ও লিনউদ মসজিদে প্রাণঘাতী নৃশংসতা চালানো হামলাকারীকে আইনের পুরো সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জেসিন্ডা। এমনকি তিনি ঘৃণ্য সেই হামলাকারীর নাম কখনই মুখে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

 

পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন জেসিন্ডা। মসজিদে হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে পার্লামেন্টের স্পিকারকে সম্বোধন করে জেসিন্ডা বলেন, মিস্টার স্পিকার, আস সালামু আলাইকুম। পরে ইংরেজিতে বলেন, পিস বি আপন উইথ ইউ (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।

নিউজিল্যান্ডের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হামলাকারী অনেক কিছু করতে চেয়েছিল; কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া সে কিছুই পায়নি। যে কারণে আপনি আমার মুখে কখনই তার নাম শুনতে পাবেন না। এর আগে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদের হতাহতদের শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েলিংটনে এক সমাবেশে অংশ নেন তিনি। মসজিদে হত্যাযজ্ঞের চারদিন পর ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আপনারা তাদের কথা বলুন। কিন্তু যে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তার নাম নেয়া থেকে বিরত থাকুন।

তিনি বলেন, কারণ সে একজন সন্ত্রাসী। সে একজন অপরাধী। সে একজন চরমপন্থী। আমি কথা বলার সময় তার নাম মুখে নেব না। গত শুক্রবার অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত উগ্রপন্থী শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী বেন্টন ট্যারান্ট ক্রাইস্টজচার্চের দুটি মসজিদে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক নিয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে অন্তত ৫০ জন মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো কমপক্ষে ৪৯ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেছেন, হামলাকারী অস্ট্রেলীয়র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আনা হবে। তাকে নিউজিল্যান্ডের আইনের পুরো সাজা ভোগ করতে হবে। মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলার পর সোমবার নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা দেশটির অস্ত্র আইন সংশোধনে সায় দিয়েছে। দেশটির বর্তমান আইনের সুযোগ নিয়ে হামলাকারী ট্যারেন্ট একসঙ্গে একাধিক অস্ত্র কিনেছিল।

জেসিন্ডা বলেন, যে ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে সে এখানকার নয়। সে এখানে বেড়ে ওঠেনি। সে এখানে তার আদর্শ খুঁজে পায়নি। কিন্তু এখানেও যে তার মতো মতাদর্শের মানুষের বসবাস নেই, তা বলা যায় না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × one =