আদমদিঘীর ইন্দইলে ভূয়া কবিরাজ নজরুল ইসলামের প্রতারণা

0
1482

স্টাফ রিপোর্টার: আদমদিঘী উপজেলার ইন্দইল গ্রামের ভূয়া কবিরাজ নজরুল ইসলাম স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার ইন্দইল গ্রামের ভূয়া কবিরাজ আল হাজ্ব নজরুল ইসলাম সাধারণ রোগিদের কাছে নিজেকে তুলে ধরছে প্রবীন কবিরাজ হিসাবে। এলাকায় কেউ যদি কোন রোগে আক্রান্ত হয় এ খবর কোনভাবে তার কমিশনকৃত দালালদের কানে গেলেই তাকে ফুসলিয়ে ভাল চিকিৎসা দেওয়ার নামে নিয়ে যায় ঐ ভূয়া কবিরাজের চেম্বারে।

এলাকাবাসী জানান, ইন্দইল গ্রামে গত ১৫ বছর যাবৎ তার দৃষ্টি নন্দিত বাড়ীতে ভূয়া কবিরাজ নজরুল ইসলাম দাওয়াখানা দিয়ে চিকিৎসার নামে সাধারণ রোগিদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। গ্যারান্টি সহকারে প্রেমে ব্যর্থ, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, জীনের আছর, যে কোন লোককে বশ করা এবং যৌন রোগসহ জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে আসছে। এছাড়াও পানিপড়া ও তাবিজ দিয়ে পরীক্ষায় রেজাল্ট ভাল করার ও ব্যবস্থা করে দেন এ কবিরাজ। ১০০% গ্যারান্টির আশ্বাস প্রদান করে চিকিৎসার মায়াজালে মানুষকে আটকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতারক কবিরাজ। যদিও এসব জীন তথ্য কবিরাজি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরকার অনুমোদিত কোন স্বীকৃতি পত্র নেই। তারপর ও বীর দর্পে এসব ভূয়া কর্মকান্ড করে আসছে প্রতারক নজরুল ইসলাম। আর এ সবই করছে স্থানীয় প্রশাসন, কতিপয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে।
এলাকার প্রতারিত জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ভূয়া কবিরাজ যে সমস্ত রোগের কবিরাজি ও অত্যাধিক জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করছে তাদের কোনো সরকারী স্বীকৃতি পত্র নেই। নেই কোনো দাওয়াখানা বা ঔষধ তৈরির ব্যবস্থা। রোগের বণর্ণা শুনে কাঁচের গ্লাসে তসবি দিয়ে ঘুরাইয়ে নিজের স্বরীরে জ্বিন হাজির করে গুনোগা করে বলে দিচ্ছে রোগের বর্ণনা। কৌশলে জ্বিনের আছঁর আছে বলে ঝাড় ফুঁক করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ বিশাল মুখরোচক গল্প আর দুষ্টি নন্দিত বাড়ীতে বসে কবিরাজ নজরুল মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি এই প্রতারক কবিরাজ এজেন্ট সেট করে কমিশনের মাধ্যমে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী অবিলম্ভে ঐ ভূয়া কবিরাজকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − four =