ফরিদগঞ্জের কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য

0
690

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: শিক্ষাই জাতির মেরন্ডদন্ড। কিন্তু এ শিক্ষা নিয়ে কিছু অসৎ ব্যক্তি অহরহ বাণিজ্য করে যাচ্ছে, তেমনি এক নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। গত ০৯/০৪/২০১৯ তারিখে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় অনেকেই প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু অংশ গ্রহণ করেননি। চর্তুদিকে নানা গুঞ্জন শুনা যায় যে, প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান পূর্বেই যাকে পছন্দ ও চুক্তি করে রাখেন, তাকেই নেওয়া হয়। তাই মিজানুর রহমান সাহেব উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ডিজি প্রতিনিধিকে আগেই ম্যানেজ করে রাখেন। সেই হিসাবে অন্য প্রার্থী প্রথম স্থান অধিকার করার পরেও প্রধান শিক্ষকের পছন্দের প্রার্থীকে চুক্তি মোতাবেক প্রথম বানিয়ে মো: খোরশেদ আলম নামীয় শিক্ষককে নিয়োগের জন্য ঘোষণা করেন। এই মো: খোরশেদ আলম সাহেব প্রধান শিক্ষক সাহেবের পছন্দের ও লেনদেনের প্রার্থী।

বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন। অথচ কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োহ বাণিজ্য হবে, তা সচেতন মহল মেনে নিতে পারে নি। যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ব্যতীত কোন সাফল্য অর্জন হবে না। ইতোপূর্বেও প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সাহেব চুক্তি করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করেছেন, যার প্রমান তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে। ২০১৪ সালে যখন সারা দেশে জামায়াত শিবির জ্বালাও, পোড়াও ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, তখন মিজানুর রহমানের নিয়োগকৃত সহকারী প্রধান তার ছাত্রদের গাড়ী জ্বালানোর জন্য রায়পুর-চাঁদপুর রোডে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রেরণ করেন। যা পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃক ছাত্রগণ ধৃত হইলে ঐ সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম চলে আসে। তখন ঐ সহকারী প্রধান শিক্ষককেও গ্রেফতার করেন। এলাকাবাসী ও সচেতন ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনায় জানা যায় যে, মো: মিজানুর রহমান সাহেব সভাপতিকে ম্যানেজ করে এই সকল নিয়োগ বানিজ্য করেন। গত ০৯/০৪/১৯ তারিখের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারী ০৪ জনের মধ্যে ০৩ জনের সাথে কথা বলে এবং এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন নাগরিকদের প্রানের দাবী সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুন: সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবী জানান। তার সাথে সাথে কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিয়োগ বানিজ্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ও শিক্ষা সচিব মহোদয়ের নিকট এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − 15 =