আরজেএসসির এক্সামিনার অব একাউন্টস রিয়াজ মোর্শেদের ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা গ্রাহকরা

0
868

মো: আহসানউল্লাহ হাসানঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্ম (আরজেএসসি) এর এক্সামিনার অব একাউন্টস রিয়াজ মোর্শেদের দাপটে কোনঠাসা সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা।তিনি ঘুষ ছাড়া একটি ফাইলেও স্বাক্ষর করেন না। যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের প্রধান কার্যালয়ে এককালের অফিস সহকারী বর্তমানে এক্সামিনার অব একাউন্টস রিয়াজের ক্ষমতার দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক, কনসালটেন্সি ফার্মের কর্তৃপক্ষসহ জয়েন্ট স্টকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কারন রিয়াজ মোর্শেদের কাছে ‘কে আপন, কে পর’ তা কোন ভাবার বিষয় নয়। তার কথা একটাই ফাইলে সই করালেই টাকা দিতে হবে, তানাহলে কোন কাজ হবে না। রিয়াজ মোর্শেদ ও তার তৈরি সিন্ডিকেটের কারণে গ্রাহক ও কনসালটেন্সি ফার্মগুলোসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তারা কোন কাজই ঠিকমতো করতে পারছেন না। জয়েন্ট স্টকের একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এককজন উধ্বর্তন কর্মকর্তা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় তার দাপট দেখাচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ অধিদফতরে।

 

সূত্র জানায়, রিয়াজ মোর্শেদ এক্সামিনার অব একাউন্টসের দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মানতে প্রায়ই গড়িমসি করেন। কোনো নির্দেশনা দিলেই তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তা পালনে সময়ক্ষেপণ করেন। অফিসের নিয়ম শৃংঙ্খলা ভঙ্গ করার মত অনেক আপত্তিকর কাজকর্ম করেছে যা সরকারী-কর্মচারী আচরণ বিধি লংঘন মাত্র। রিয়াজ মোর্শেদ নগদ অর্থ বা ঘুষ ছাড়া অন্য কিছুই বুঝেন না বা জানেন না। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকদের সঙ্গে এমন বীরদর্পে কথা বলেন যে, তিনিই একমাত্র ক্ষমতাধর ব্যক্তি, তিনিই যেন এই অফিসের সর্ববৃহত কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগীরা জানান, কোন রকম ফাইলটি রিয়াজ মোর্শেদের টেবিলে গেলেই শুর হয় দর কষাকষি। যতক্ষণ তার চাহিদাপূর্ণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফাইল তার টেবিল থেকে ডেসপাস হয় না।

দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, তিনি একটি কনসালটেন্সি ফার্ম খুলে বিভিন্ন কোম্পানীর ফাইল পত্র চুক্তি মোতাবেক ক্লিয়ারেন্স করে দেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিজ ক্ষমতা বলে প্রচুর অর্থের একটি কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর এর ক্ষেত্রে কনসিডারেশন ভ্যালু কম দেখিয়ে ভূয়া চালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমান ঐ কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর করে স্ট্যাম্প ফাঁকি দিয়েছেন। এতে করে সরকার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। তাছাড়া অনৈতিক উপায়ে অর্জন করেছেন মোটা অংকের টাকা।
জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি ওমরা পালন করে এসে ঘুষ গ্রহনে মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগের চাইতে ডবল না দিলে তিনি কোন ফাইলে স্বাক্ষর করেন না। তার এহেন ঘুষ বানিজ্যে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া না হলে সরকারের বদনাম হবে। রিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে আরো অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − thirteen =