ভেজালযুক্ত সিটি সয়াবিন তৈলে বাজার সয়লাব

0
2204

মো: আহসানউল্লাহ হাসান: ঢাকা বিভাগের অধীনে গ্রামগঞ্জের বাজার গুলো বার্নিস ওয়েল মিশ্রিত ভেজালযুক্ত সিটি সয়াবিন তৈলে সয়লাব। রাজধানীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান সক্রিয় থাকায় সিটি সয়াবিন তৈলটি পার্শ্ববতী গ্রামের বাজারগুলোতে ব্যাপক হারে পাওয়া যাচ্ছে। আর এই তেল ব্যবহারে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ভেজাল বিরোধী অভিযান টিমের তদারকি না থাকায় বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে ভেজালযুক্ত সিটি সয়াবিন তেল।

জানা গেছে, নারায়নগঞ্জ সদর এলাকার ২২ পিবি রোডস্থ খাদিজা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের মালিক সাদ্দাম হোসেন ড্রামভর্তি করে মানহীন তৈল কিনে আনেন এবং  সেই সাথে হোটেলে ব্যবহৃত পোড়া তেল অল্প মুল্যে কিনে এনে বিষাক্ত ক্যামিকেল দ্বারা সাদা করে দুইটিকে একসাথে মিশিয়ে সিটি সয়াবিন তৈল নামে মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ সহ ঢাকার পাবতী গ্রামের বাজারগুলোতে বাজারজাত করে আসছে।

বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, সিটি সয়াবিন তেলে কাঠের কাজে ব্যবহার করা বার্নিস ওয়েল নামের এক ধরনের তেল মিশ্রন করা হয়। যে কারনে বাজারের সয়াবিন তেল চকচকা ও পানির মতো সুন্দর থাকে। ওই ভেজাল তেল দেখে কোন ভাবেই বুঝা যাবে না ভেজাল। তিনি আরো বলেন, বাজারের এই ভেজাল সয়াবিন তেলের নামে বার্নিস ওয়েল খেয়ে সাধরান মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

গ্রামগঞ্জের বাজার গুলোতে প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী টিমের ভ্রাম্যমান অভিযান তৎপরতা কম থাকায় সাদ্দাম চক্র বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় সনদপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্সের উপর ভিত্তি করে নিজস্ব নিয়মে এই ভেজাল তেলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সিটি সয়াবিন তৈল আমার প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতকৃত সয়াবিন তৈল। এটি ভেজালমুক্ত।  এটার চাহিদা বাজারে বেশী হওয়ায় কিছু খারাপ লোক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আমি সমস্ত কাগজপত্র মেন্টেন করেই ব্যবসা করছি। আমার কাছে সব ধরনে অনুমতি লাইসেন্স আছে।

তার এমন জবাবে শুধুমাত্র বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + 3 =