হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি তৈরি, ছাপানো নিউজপ্রিন্টের ওপর ইফতারি রাখা, পোকাসহ বেগুনি তৈরির অপরাধে বহাদ্দারহাট এলাকার হোটেল জামান অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউসকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
ধ্বংস করা হয় ১০ কেজি জিলাপি। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নগরের ইপিজেড ও চান্দগাঁও থানায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৮টিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আই ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় অননুমোদিত দই, বাসি খাবার, ছাপানো নিউজপ্রিন্টে রাখা ইফতার, হাইড্রোজ, হাইড্রোজ দেওয়া জিলিপি, অননুমোদিত রং, রং দেওয়া খামির ধ্বংসসহ ১৬টি কম ওজনের বাটখারা আটক করা হয়। অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে ইপিজেড থানার নেভি হাসপাতাল গেট এলাকার কাঁচাবাজারে গরুর মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ও ওজনে কম দেওয়ায় শাহ নূরের মাংসের দোকানকে ৫ হাজার, বেলালের মাংসের দোকানকে ৩ হাজার, জোহা মিয়ার মাংসের দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৬টি কম ওজনের বাটখারা জব্দ করা হয়। একই এলাকার জাহানারা হোটেলকে ইফতারে ক্ষতিকর (অননুমোদিত) রং ব্যবহার করায় ১০ হাজার জরিমানা করে রং দিয়ে তৈরি ইফতার ধ্বংস করা হয়। মডার্ন হাসান বেকারিকে উৎপাদন, মেয়াদ ও অনুমোদন বিহীন দই তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১২ কেজি ধ্বংস করা হয়। জান্নাত বেকারিকে হাইড্রোজ ও অননুমোদিত রং ব্যবহার করে জিলাপি প্রস্তুত করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১০ কেজি জিলাপি ও খামির ধ্বংস করা হয়। লাকি ঝাল বিতানকে হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি তৈরির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সব জিলাপি ও খামির ধ্বংস করা হয়েছে।