নেত্রকোনায় রেলের জমি গিলে খাচ্ছে ভুমিদস্যু ইসতিয়াক বাহিনী

0
1006

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে নেত্রকোনা রেলস্টেশন ও রেললাইন সংলগ্ন জমি জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ের জমি শর্ত সাপেক্ষে লিজ নিয়ে ব্যবহার ব্যবহার করার কথা থাকলে তা মানছেন ভুমিদস্যু ইসতিয়াক গংরা। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে নেত্রকোনা রেললাইনের ১শ’ গজের মধ্যে দিব্যি দ্বিতল বাড়ি ও দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন এই ব্যক্তিরা। এদিকে জমির ক্রেতারা জমির দখলে রাখতে ওই জমিতে পাকাভবন নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে হরদম। এঘটনায় স্থানীয় রেলকর্তৃপক্ষ ইসতিয়াক আহম্মেদ গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। রেলের জমি কেনা-বেচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা মৌজার অধিহণকৃত জমির অব্যবহৃত অংশ লিজ নেয় ইসতিয়াক আহম্মেদ সহ আরো কয়েকজন। যাদেরকে কৃষি কাজের জন্য মুলত জমি লিজ দেয়া হয়। কিন্তু তারা শর্ত ভঙ্গ করে দোকানঘর নির্মাণ সহ ঐ জমি কিছু অংশ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুত্র জানায়, ইসতিয়াক আহম্মেদ ২০১৭ সালে পূর্বধলা মৌজাস্থ বিএস-২০৫৭ ও ২১২৫ দাগের ৯ শতাংশ জমি লিজ নেয়। কৃষি কাজের শর্তে লিজ নিলেও তিনি ঐ জমিতে দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এতেই সে ক্ষান্ত হননি, এবার শতাংশ প্রতি ১০ লাখ টাকা হিসেবে ৩০ লাখ টাকায় ৩ শতাংশ বিক্রিও করে দিয়েছেন। বিষয়টি নেত্রকোনা রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তারা তাকে নোটিশ প্রেরন করে। কিন্তু ইসতিয়াক আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেত্রকোনা বিভাগীয় অফিসের ফিল্ড কানুনগো রুহুল আমিন বাদী হয়ে ইসতিয়াক আহম্মেদ, ইমরান আহম্মেদ ও ইসতিয়াক আহাম্মদ এর নামে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-১২/২০১৯। তবে ইসতিয়াক গংরা রেলওয়ের স্থানীয় কর্মকর্তা নজরুল মোটা টাকায় ম্যানেজ করে ঐ জমি বিক্রি করেছে বলে মামলা করেও কোন সুবিধা করতে পারছেনা মামলা বাদী রুহুল আমিন। কারন মামলা করার পর থেকে রুহুল আমিনকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে নজরুল ও ইসতিয়াক গ্রুপ।
মামলা বাদী রুহুল আমিন বলেন, রেলের কর্মকর্তারা মামলার কাজে সহযোগিতা না করলে রেলের এই জমি উদ্ধার সম্ভব নয়। রেলের কোন প্রভাবশালী কর্মকর্তা যদি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন তাহলে অন্য বিভাগের লোকজনের কি এমন করার থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু রেল স্টেশন এলাকার এক লিজ গ্রহীতা জানান, আমরা রেলের পতিত জমি লিজ নিয়ে ব্যবহার করছি। যদি রেল চায় যে কোনো সময় সেটি ফেরত নিয়ে নিতে পারবে। তবে লিজের বাইরেও অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। কিন্তু এই জমি বিক্রি করার অধিকার আমাদের নেই।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রেল স্টেশনের দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও উত্তোলন করেছি। মামলা হয়েছে। রেলের জমি রেলেরই থাকবে। এছাড়া অন্যত্র যেসব দখল হয়েছে তাদেরও নোটিশ করা হয়েছে। সেগুলোও শিগগিরই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × three =