বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নেশার বড়ি ইয়াবা পকেটে ঢুকিয়ে চাপ দিয়ে পুলিশের টাকা আদায়ের অভিযোগের খবর ইদানীং হর-হামেশা চোখে পড়ে বাংলাদেশে । কিন্তু অভিযোগ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ঘটনা বিরল। মৌলভীবাজারের জেলার এক ভুক্তভুগি মডেল থানার এ এস আই শাহরিয়ার আহমদ এর বিরুদ্ধে জোর করে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন খোদ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে।
ভুক্তভুগী ফজলু মিয়া তিনি স্থানীয় বিসিক শিল্পনগরীর একটি ফ্যাক্টরীর দারওয়ানের দায়িত্ত্বে আছেন। গত ১৪ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় স্ত্রী ঘরে না থাকায় রাতের খাবারের পানি আনতে যান মৌলভীবাজার বিসিক শিল্প নগরীর সামনে স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার বাড়িতে, সেখান থেকে পানি নিয়ে ফিরার পথে ঢাকা- মৌলভীবাজার মহা সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মৌলভীবাজার মডেল থানার এ এস আই শাহরিয়ার আহমদ তাকে আটক করে জোর করে তার পকেটে নেশার বড়ি ইয়াবা ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটর সাইকেলে তোলেন। তখন তার চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগন দাওয়া করলে এ এস আই শাহরিয়ার,ফজলু মিয়াকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত মোটর সাইকেল চালিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয় জনগন ও ভুক্তভুগী ফজলু মিয়া জানান, বিগত অনুমান ৫/৬ মাস পূর্বে ফজলু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম কে একা বাসায় পেয়ে এ এস আই শাহরিয়ার ধর্ষণের চেষ্টা করেন, ফজলু মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে কোন প্রকার মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে যান শাহরিয়ার, এবং থানার হাজতে আটক করে নেশার বড়ি ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২০ (বিশ) হাজার টাকা মুক্তিপন দ্বাবী করেন শাহরিয়ার। অতপর ফজলু মিয়ার প্রথম স্ত্রী রুমি বেগম ও তার সন্তানরা, আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে এই ২০(বিশ) হাজার টাকা এনে দেন এস আই শাহরিয়ারকে এরপর মুক্ত হন ফজলু মিয়া। এই ধারের টাকা এখনো শুদ করেতে পারেন নি ফজলু মিয়া।
এই ঘটনায় ফজলু মিয়া বাদী হয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে গত ১৬ জুন একটি অভিযোগ দায়ের করেন, এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,আই জি পি, ডি আইজি সিকিউরিটি সেল, ডি আই জি সিলেট ও অসি মৌলভীবাজার বরাবর অনুলিপি পাঠান। তিনি আরো জানান পুলিশ সুপারের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারন আইনে মামলা করবেন।
অনুসন্ধানে আরো জানাজায় এ এস আই শাহরিয়ার দীর্ঘ দিন থেকে এই থানায় কর্মরত আছেন। তিনি পূর্বে ড্রাইভার ছিলেন, অসির গাড়ী চালাতেন, প্রমোশন পেয়ে এই থানায় এ এস আই এর দ্বায়িত্ত্ব পালন করছেন, তিনি এই ঘটনা ছাড়াও আরো ভিবিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে এ এস আই শাহরিয়ার অপরাধ বিচিত্রাকে জানান ফজলুর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সঠিক না, তবে ৫/৬ মাস আগে তাকে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছিলাম পরে অসি সাহেব তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। গত শুক্রবার আমি কাঠাল কিনতে মোকাম বাজার যাওয়ার পথে রাস্তায় পেয়ে ফজলু মিয়াকে ডাক দিলে সে দৌড় দেয় তখন আমি তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু স্থানীয় লোকজনের কথায় আমি ছেড়ে দেই, তখন আমার ডিউটি ছিলনা। কিন্তু পুলিশের দিউটি তো ২৪ ঘন্টাই থাকে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান উভয় পক্ষের মধ্যে ছোট একটি ভূল বুঝাবূজি হয়েছে বিষয়টি আমরা আপস মীমাংসার মাধ্যমে শেষ করে ফেলবো,ভুগতভুগী অভিযোগকারীর সাথে আমার আলাপ হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহজালাল জানান বিষয়টি আমি শুনেছি, অভিযোগটি হাতে পেলে ব্যবস্তা গ্রহন করবো।