বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়লেও দুর্নীতি কমার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রোববার (২৩ জুন) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘জন প্রশাসনে শুদ্ধাচার: নীতি ও চর্চা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ কথা জানায় টিআইবি।
এসময় এ গবেষণা প্রতিবেদনটির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনের নিয়োগ, পদোন্নতি, ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), চুক্তিভিত্তিক নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মহুয়া রউফ প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, “রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাবের কারণে জাতীয় শুদ্ধাচারের কোনো কোনো কৌশলের চর্চা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। প্রশাসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, “শুদ্ধাচার কৌশলে জনপ্রশাসন সম্পর্কিত ১১টি কৌশলের মধ্যে পাঁচটি কৌশলের চর্চা সন্তোষজনক। তিনটি কৌশলের চর্চা এখনো শুরুই হয়নি। মহুয়া রউফ বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে যোগ্যতা নয়, ক্ষমতাসীনদের পছন্দ প্রাধান্য পাচ্ছে।” এসময় শুদ্ধাচার কৌশলের কিছু অগ্রগতির চিত্রও তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচারের অবস্থাটি মোটামুটি মিশ্র। কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি আছে। কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। আবার কিছু কিছু উদ্যোগ শুরুই হয়নি। তিনি সরকারি কর্মচারী আইনে গ্রেপ্তার সম্পর্কিত একটি ধারার সমালোচনা করে বলেন, এই ধারাটি দুর্নীতি প্রতিরোধে বাধার সৃষ্টি করবে। তাই তাঁরা এই ধারাটি বাতিল করে আইনের সংশোধন চান।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভিন হাসান, টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের।