ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রনয়নে সরকার আন্তরিক-বাণিজ্যমন্ত্রী

0
504

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রনয়নে সরকার আন্তরিক। মহান জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের উপস্থাপিত বাজেটকে ব্যবসায়ী সমাজ স্বাগত জানিয়েছেন। সরকার উদার নীতি গ্রহণ করে এ বাজেট প্রনয়ন করেছে। দেশের বিনিয়োগকারীগণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছেন, এখানে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশী বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদানের নীতি গ্রহন করেছে। ব্যবসা পরিচালনা করতে পণ্যের উপর শুল্ক ও ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করছে। দেশের ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি। বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে বলা হয় ব্যবসা বান্ধব সরকার। বাজেটে দেশের ব্যাবসায়ীদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ দেশের যে উন্নতি সে জন্য ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। দেশে ব্যবসার প্রসার না ঘটলে উন্নতি হয় না, কর্মসংস্থান হয় না। দেশে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। প্রস্তাবিত বাজেটে যদি কোথাও কোন অসামন্জস্য থেকে থাকে, সরকার আলাপ আলোচনা করে তা সমন্বয়ের চেষ্টা করবে। এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের বড় সংগঠন, এর নেতৃবৃন্দ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারনে বিশ^ বানিজ্যে আজ বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বিশ^ বাণিজ্যে বাংলাদেশে অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। পণ্যের উৎপাদন খরচ কমিয়ে উন্নত মান নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ জন্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমই এর প্রেসিডেন্ট লুবানা হক, বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাষ্ট্রিজ(বিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল আলম চৌদুরী(পারভেজ)সহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপারিশ মালা পেশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 2 =