ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ইসমাঈল বাহিনীর নামে মামলা করায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

0
690

সবুজ: মাদারীপুর চরমুগুরিয়া তালুকদার বাড়ীর রফিকুল তালুকদারের বাড়ীর সামনের পুকুর পারের সাথের জমি, তাহার বাবার কেনা সম্পদের উপর ভূমিদুস্যু ও সন্ত্রাসী ইসমাঈল, আলীম বেপারী তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখল। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় গত ১১/০৬/২০১৯ অনুমানিক বেলা ১২.০০টার দিকে রফিকুল তালুকদার বাড়ীর সামনে পুকুর পারের সাথের জমি যাহার দাগ নং: ১৫৪৯ অংশানুযায়ী জমির পরিমান ২৪ শতাংশ ১৩ পয়েন্ট তাহার বাবা দাদার আমল থেকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে জমির মালিক এবং তাহারা দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে খাজনা বি.আর.এস তাদের নামে পরিশোধ করে আসছে। হঠাৎ করে তাদের ফুফাতো ভায়ের কাছে শুনতে পায় যে, তাহাদের ঐ জমিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইসমাইল তালুকদার ও আলিম বেপারী তাহাদের সন্ত্রাসী বাহিনীদের নিয়ে জমিতে গাছ লাগায় ততখনিক রফিকুল খবর পাইয়া উপস্থিত হয়। তাহাদের কে রফিকুল বাধা দিলে, তখন তাহারা রফিকুলকে অস্ত্র ঠেকিয়া ও হাতে থাকা গাছ লাগানো সাফল দিয়া ইসমাঈল, আলিমসহ আরো ৮ থেকে ১০ জন মিলে এলো পাতারি বাড়ি মারা শুরু করে, তাতে রফিকুল গুরুতর যখম করে তারা বলে আমরা এখানে গাছ লাগাচ্ছি কারন আমরা এখানে এই গাছের ছায়ায় বসব। আমাদের বসের নির্দেশ পারলে ঠেকাইস। রফিকুল এই কথা শুনে তাহার আঘাত নিয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে তখন তাহার আত্বিয় পরিজন ও পরিবার তাহাকে সদর হাসপাতালে নিয়া যায়।

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তার গুরুতর অভস্তা দেখে তাহার পরিবার থানায় একটা এজাহার দায়ের করে। চার দিন পর একটু সুস্থ্য হলে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে বাড়ী নিয়ে আসে এবং পরে তিনি ১৬-০৬-২০১৯ তারিখ চরমুগুরিয়া বাজারে ঔষধ আনতে গেলে রাত আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকার সময় বাজার থেকে আসার পথে চরমুগুরিয়া বাজারের ছাগলহাটা হওলাদার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল তালুকদার ও আলিম বেপারী বাহিনীর ১০-১২ জন তাহাকে আবার আক্রমন করে। সন্ত্রাসী ইসমাইল বলে থানায় গিয়াছিলি, অভিযোগ করিয়াছিস কুত্তার বাচ্চা। আমার নেতার হুকুম তোকে এবার এমন মার দিবো, তুই হাসপতালে ২০ দিন থাকবি কিন্তু মামলা করতে পারবি না। এই বলিয়া তাহাকে রানদা, ছেনদা ও অস্ত্র ঠেকাইয়া লোহার রট ও হাতুরি দিয়া তাহাকে দুই পায়ের ৮-১০ জন মিলিয়া এলোপাতারী বাড়ি মারে এবং ইসমাইল তালুকদার তার হাতে থাকা ধারালো রানদা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে আঘাত করে এবং মারাত্মক হারকাটা রক্তাত্ব যখম করে। কিন্তু আলিম বেপারী তার হাতে থাকা লোহার রট দিয়া তাহার মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তাহার পিঠে জোরে বাড়ি মারিয়া মারাত্মক হারভাঙ্গা যখম করে।

তিনি তখন ডাক চিৎকার দিলে সকল সন্ত্রাসীগণ এলোপাাতারীভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা যখম করিয়া তাহার ডান পকেট থেকে ব্যবসায়ীক ১,২০,০০০/-টাকা ইসমাইল তালুকদার নিয়ে যান। সন্ত্রাসীগণ তাহার ব্যবহৃত ১টি স্যামসাং মোবাইল, হাতের স্বর্ণের আংটি নিয়ে যায়। তখন তিনি ডাক চিৎকার দিলে পাশের হাওলাদার বাড়ির লোকজনরা বেরিয়ে এসে তারা ডাক চিৎকার করিলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা ঐ মুহুর্তে চলে যায়। তাহার পরিবার, ভাই, ভাতিজা এবং আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে এসে তাহাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং থানায় তাহার পরিবার সন্ত্রাসদের নামে একটি মামলা করেন, যাহার মামলা নং-৩৪, ধারা-১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬। পুলিশের আইও গাফলতির কারনে দীর্ঘ দুই দিন সময় শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীগণ মামলার দুই দিন পরে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসে এবং সন্ত্রাসী ইসমাইল ,আলিমগং’রা তাহার পরিবার ও তাহাকে আবার জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বলে আমাদের বসের হুকুম এবার তোকে মেরে ফেলবো এবং তোর পরিবার ও সন্তানদেরকে জীবনে মেরে ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 3 =