এমপি খোকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল

0
541

এম ডি অনিকঃ-নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের সফল সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টীর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এবং তার ভাই মনিরুজ্জামান,ভাতিজা হিরু,শামিম এবং জাবেদ রায়হানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত আইয়ুব প্লাজা,মদিনা টাওয়ার,শাহাবুদ্দিন সুপার মার্কেট এবং লিজা ফিলিং স্টেশনের সকল ব্যবসায়ী,হকার ও এলাকাবাসী। ২৩শে সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এমপি খোকা এবং তার পরিবারকে নিয়ে সংবাদেও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গতকাল দূপুরে সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে তাদের রিুদ্ধে চাদাবাজী ,মাদক ব্রবসা বা কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সত্যতা পাওযা যায়নি। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে উপজেলার পিরোজপুর জৈনপুর এলাকার ফল ব্যবসায়ী মামুন,মজিবুর রহমান ও লালচান বলেন,আমরা লিজা পাম্পের সামনে অস্থায়ী ভাবে টং দোকান বসিয়ে ফলের ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।

হাইওয়ের পুলিশ এসে কিছুদিন পরপর আমাদের উৎখাত করে আবার জীবিকার তাগিদে আমরা হকাররা এখানে বসে ব্যবসা করি।আমাদের কাছ থেকে এমপি খোকা সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজারা এমনকি প্রশাসনের লোকও কোন চাঁদা নেয়না। বরং এমপি সাহেবের মার্কেট এখানে থাকায় তার ভাই ভাতিজারা আমাদের কাছাকাছি থাকায় আমাদের উপর অন্য কেউ জুলুম অত্যাচার করতে পারেনা। তাছাড়া প্রতি ঈদে এমপি সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজারা আমাদের সকল হকার এবং যারা এখানে ব্যবসা করে সকলকে ঈদ সামগ্রী এবং ঈদের জামা কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করে।

আমাদের কারও ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করাতে সমস্যা হলে বা কারও মেয়েকে বিয়ে দিতে টাকার প্রয়োজন হলে এমপি সাহেব এবং তার ভাতিজা জাবেদ আমাদের আর্থিক সহায়তা করেন। কাঁচা বাজারের তরকারী ব্যবসায়ী সুমন বলেন,আমি এখানে ব্যবসা করে সংসার চালাই,আমার মতো যারা আছেন তাদের সবারই প্রিয় লোক লিয়াকত হোসেন খোকা সাহেব।তিনি এবং তার ভাই ভাতিজারা আছে বলেই অন্য কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা এবং মাদক ব্যবসায়ীরা এখানে আমাদের নির্যাতন করতে পারেনা।

এমপি সাহেব এবং তার ভাতিজা জাবেদ আমাদের অনেককেই ব্যবসায় করার জন্য টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন।অথচ তাদের নামে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে আমরা খুব দূঃখ পেয়েছি।আমরা এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কলা ব্যবসায়ী অখিল উদ্দীন এবং দৈলরবাগ এলাকার কায়ুম আলী বলেন,এমপি খোকা একজন সৎ ও ন্যায়নীতিবান মানুষ হওয়ার কারণেই দুই দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।তার মতো দয়ার কোন এমপি আছে কিনা আমাদের জানা নেই।

এমপি খোকার ঘোষনা ছিলো সোনারগাঁও মাদক মুক্ত হবে। এজন্যই তার ঘোষনা অনুযায়ী তার ভাতিজা জাবেদ রায়হান এলাকার সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে এই এলাকা এখন শতভাগ মাদক মুক্ত করেছেন এবং আমাদের জানা মতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন মাদকাসক্ত যুবকদের রিহ্যাব থেকে নিয়ে এসে শতভাগ মাদক মুক্ত জীবন দান করে তার নিজস্ব ব্যবসার কাজে জড়িত করে তাদের বেতন ভুক্ত করে দিয়েছেন।

তাছাড়া এই এলাকার প্রতিটি অসহায় গরীব দূঃখীদের ঘরে প্রতিমাসে ২০ কেজি করে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ বস্তা চাউল দান করেন।এমপি সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজারা স্থানীয় মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদ্রাসায় দুহাত ভরে দান করেন।তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।আমরা সকল এলাকাবাসী এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


স্থানীয় বাড়ীমজলিশ এলাকার তাবারক মিয়া এবং কামরুল মিয়া বলেন,আমাদের জানা মতে এমপি খোকা সাহেবের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া যে কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে এবং তার ভাই ভাতিজাদের যতো সম্পদ ও ব্যবসা আছে তাদের চৌদ্দ পুরুষ বসে বসে খেতে পারবে।তারা কেনো ফুটপাতে চাঁদা তুলতে যাবে?এইতো সেদিন এমপি সাহেবের ভাতিজা জাবেদ কোরবানপুর মাদ্রাসায় কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে লাইব্রেরি তৈরী করে দিয়েছেন এবং আরও কয়েকটি মসজিদ মাদ্রাসায় খাট এবং আসবাবপত্র দান করেছেন।

এমপি সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজা সবাই একাধিক বার পবিত্র হজ্জ পালন করেছেন আমাদের দেখা মতে তারা খুব ধার্মিক এবং ন্যায় পরায়ণ লোক তারা কোনদিন সন্ত্রাসী কাজ বা চাঁদাবাজির মতো অপকর্মে জড়িত না।তাই আমরা সকল বয়বসায়ী এবং এলাকাবাসী এই মিথ্যা সংবাদের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছি।আমরা চাই একজন ন্যায় পরায়ন এমপি খোকা সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজাদের বিরুদ্ধে যেনো কোন সাংবাদিক ভাই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আর কোন মিথ্যাচার না করে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 − 6 =