রাজাপুরে প্রতিপক্ষ ও পুলিশী হয়রানি থেকে বাঁচতে বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী নারীর সংবাদ সম্মেলন

0
525

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর পুটিয়াখালি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ ও পুলিশী হয়রানির শিকারের হাত থেকে বাঁচতে মাও. আব্দুল হকের স্ত্রী শারীরিক বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী মারিয়া বেগম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকেলে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে জানান, ক্রয়কৃত জমি দখলে নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মৃত আজাহার আলীর স্ত্রী লালমতি বেগম, ছেলে আনোয়ার হোসেন, আলতাফ হোসেন, সাকিব হোসেন, আনোয়ারের স্ত্রী পাখি বেগম ও মৃত ইউসুফ আলী কারিকরের ছেলে ইউনুচ ও চাঁন মিয়া কারিকর, মৃত হাতেম তালুকদারের ছেলে কালাম হোসেন, মোকছেদ আলীর ছেলে কামাল চৌকিদার মিলে গেল বছরের ২৪ অক্টোবর সকালে মারিয়া বেগমের ঘরে হামলা, মারধর ও প্রায় ৮ লাখ টাকার মালপত্র লুটে নেয়।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ারের স্ত্রী পাখি বেগম মিথ্যা জমি দখলের অভিযোগ দিলে এসআই ফিরোজসহ দুই পুলিশ সদস্য তদন্তে এলে দুই পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায় দুই পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে এবং প্রতিবন্ধী মারিয়া বেগম ও তার এক মেয়েকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর পুলিশ ও প্রতিপক্ষরা নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে।

তাদের ভয়ে স্থানীয় পুটিয়াখালি বাজারেও বের হতে পারছেন না ওই পরিবারের সদস্যরা এবং কৃষি ব্যাংকের একটি মামলা থেকে জামিন নিয়ে ২৬ জুন রাজাপুর থানায় রি-কল জমা দেয়া হয় এবং বিষয়টি পুলিশকে বলার পরেও ওই মামলায় ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৃদ্ধ আব্দুল হককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এলে স্বজনরা রি-কলের কপি থানায় দেখালে ওসি তাকে ছেড়ে নেয়।

এভাবে প্রতিপক্ষদের ইন্দনে পুলিশী হয়রানি ও প্রতিক্ষের লোকজনের মামলা ও হয়রানির হাত থেকে বাচতে পুলিশ প্রশানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযুক্ত চাঁন মিয়া কারিকর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদেরকে কেহই হুমিক দিচ্ছে না বা হয়রানি করছে না। উভয় পক্ষের ২টি করে ৪টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। পুলিশ তাদের হয়রানি করছে না দাবি করে রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, বাড়িতে বসে পুলিশকে রি কলের কাগজ না দেখাতে পারায় আব্দুল হককে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রি-কল দেখালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ওই পরিবারকে যদি কেহ হয়রানি করে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 1 =