নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরীর চেষ্ঠা চলছে। জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ৭১’ সালের মতো সবাই মিলে রুখে দাড়াতে হবে।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রবিবার (৬অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ৮টি পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পূজামন্ডপ গুলো হলো, রূপগঞ্জ শ্রী শ্রী গোপাল জিউর দুর্গা মন্দির, ইছাপুরা শম্ভুচাঁন দুর্গা মন্দির, সনি জেলেপাড়া দুর্গা মন্দির, কেয়ারিয়া উত্তর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কেয়ারিয়া দক্ষিনপাড়া রাধাকান্ত সরকার বাড়ি দুর্গা মন্দির, কেয়ারিয়া শুকলাল বাড়ি দুর্গা মন্দির, কেয়ারিয়া উত্তরপাড়া কালীবাড়ি দুর্গা মন্দির ও কেয়ারিয়া লাল চাঁন বাড়ি দুর্গা মন্দির।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনেই দেশে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে। কোনো অশুভ শক্তি যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেশে জঙ্গীবাদ উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এ দেশে প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে স্ব স্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনসহ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান তারেক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল মজিদ জুয়েল, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান রিপন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়াল অালম সিকদার, সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুমসহ অনেকে।