সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন হলেন মুনমুন আক্তার লিজা

0
1263

আমরা সবাই কম বেশি পাপী। কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনি নিষ্পাপ? পারবেন না। তবে যাদের তওবা নসিব হয় তারা বড়ই সৌভাগ্যবান। আর এই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন হলেন মুনমুন আক্তার লিজা।

আপনাদের কাছে যিনি ‘ময়ূরী’ নামে বহুল পরিচিত। বর্তমানে তাবলিগ তথা দ্বীনদার মহলে তিনি ‘খাদিজা ইসলাম’।

শফিক জুয়েলকে বিয়ে করার পর থেকে মাসতুরাত জামাতে ৩ দিন ৩ দিন করে সময় লাগিয়ে তওবা করে তার জীবনে এই পরিবর্তন। এর আগেও আমরা দেখেছি নায়িকা হ্যাপি কিভাবে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে ইসলামের পরশে পরিবর্তন হয়েছেন।

আমার বিশ্বাস তাঁর অথবা তাঁর পরিবারের কোনো দোয়া বা আমল আল্লাহ পছন্দ করেছেন বিধায় আল্লাহ পাক তাকে ‘ময়ূরী থেকে খাদিজা’ হিসাবে কবুল করেছেন।

সপ্তাহের ৫ দিনই রোযা রাখেন। আনন্দ ফূর্তির জীবন ছেড়ে সাদামাটা ইসলামি জীবনে অভ্যস্ত হয়েছেন। হয়তো জীবনে প্রথমবারের মতো তিনি তাঁর জন্মদিনের উৎসব করলেন না দাওয়াত ও তাবলিগের সাথী শফিক জুয়েল ভাইয়ের মেহনতের কারনেই এই পরিবর্তন।

তিনি তাঁর পূর্বের ভুলভ্রান্তির জন্য অনুতপ্ত। তার দৈনন্দিন জীবন, আমল আমি জানি। আপনারা দূর থেকে তা অনুধাবন করতে পারবেন না। আপনাদের কাছে আমার একটাই আর্জি আপনারা প্রিয় খাদিজা ইসলামের জন্য আল্লাহর দরবারে একটু হাত তুলবেন। আল্লাহ যেনো তাকে ক্ষমা করেন এবং হাজারো নারীর হেদায়াতের জরিয়া হিসাবে কবুল করেন।

আমি খাদিজা ইসলামের দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য এবং সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি। আপনাদের দোয়াই তাকে সঠিক পথে চলতে ভূমিকা রাখবে।

দাওয়াত ও তাবলিগ হলো সেই ঈমানি মেহনত যা মানুষকে জাহান্নামের পথ থেকে জান্নাতের পথে নিয়ে আসে।

ইনশাআল্লাহ আমরাও আমাদের মা, বোন এবং স্ত্রীদের নিয়ে মাসতুরাত জামাতে সময় লাগিয়ে নিজের ঘরে ঈমান আমল চালু করি, যেনো এটাই আমাদের জান্নাতে নেওয়ার উছিলা হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে নায়িকা ময়ূরী এক জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির শফিক নামের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন। তখন থেকেই তার জীবনের পরিবর্তন আসতে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + 5 =