সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি গার্ড রহিম উদ্দিন শত কোটি টাকার মালিক

0
1161

মোঃ জাকিরুল ইসলাম: সিভিল এভিয়েশনের নিরপত্তার শাখার সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী রহিম উদ্দিন, পিতা- সৈয়দ আহম্মেদ, মাতা- বেগমের নেছা, গ্রাম- পাটাদার, বাড়ি- ৪২১, ধর্মপুর, ডাকঘর- বীজবাগ, উপজেলা- সেনবাগ, জেলা- নোয়াখালী। গত ২০০২ সালে দৈনিক ভিত্তিক সশস্ত্র নিরাপত্তা পদে তৎকালীন (জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর) বর্তমানে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে চাকুরীতে যোগদান করেন। জানা যায় যে, ঐ সময় প্রায় ৩,০০,০০০/- টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরীতে প্রবেশ করেন। চাকরীতে প্রবেশ করার কিছুদিন পর রহিম উদ্দিন বিমান বন্দরের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। জনৈক প্রভাব এক মানব পাচারকারীর সহযোগী হিসাবে কাজ করেন। সেখান থেকে মানব পাচারের সকল বিষয়ে ও কলাকৌশল আয়ত্ত করার পর ২০০৫ সাল থেকে নিজেই শুরু করেন মানব পাচারের কাজ। এরপর রহিম উদ্দিনের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শাহজালাল বিমান বন্দরের সূত্রে জানা যায় যে, বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার তত্ত্বের জান যায় যে, গত ১৫ বছর যাবৎ একটানা মানব পাচার করে আসিতেছে। বর্তমানে রহিম উদ্দিন বাড়ি, গাড়ী, একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সে এখন কোন মানুষকে মানুষ বলেই করেন না দেশে ও দেশের বাইরে বড় বড় প্রভাবশালীর সাথে তার উঠাবসা চলাফেরা। ২০১৫ সালের জুলাই মাসের রহিম উদ্দিনের চাকরী স্থায়ী হয় যা মহামান্য হাইকোর্টের রায়।

শাহজালাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা শাখা সুত্রে জানা যায়, নিরাপত্তা প্রহরী দীর্ঘদিন যাবৎ শাহজালালের সি-শিফটে ডিউটি করে আসছে এবং এখান থেকেই সে মানব পাচার কাজ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এই মানব পাচারের অবৈধ টাকা দিয়ে তিনি ঢাকায় উত্তরখানে ০৫ (পাঁচ) কাঠা জমিতে গড়ে তুলেছে সৈয়দ মনজিল ০৮ তলা কাঠামোর অট্টালিকা যার বাড়ি নং- ২১৮/১, ওয়ার্ড নং-৬, রোড নং- ২, উত্তরা, উত্তরখান, ঢাকা। এছাড়া রহিম উদ্দিনের রয়েছে ০২ টি ফ্ল্যাট যার বাড়ি নং- ৩৪৯, জাহানারা জামাল ভিলা, দক্ষিণ গাওয়াইর, দক্ষিণখান, ওয়ার্ড নং ৪৯, ঢাকা-১২৩০, হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন শুভ হোটেল রোড। ০৭ তলার এই বাড়ির ০৬ তলায় ১৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। যেখানে সে  বর্তমানে স্বপরিবারে বসবাস করেন।

এই বাড়ির ০৪ তলায় আরো একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ১০০০ বর্গফুটের যা সে ভাড়া দিয়েছে। সিলভার কালারের ফিল্ডার গাড়ি আছে যার নং ঢাকা মেট্রো- গ-২৯-৩৬৪৯। এ ছাড়া রহিম উদ্দিনের ঢাকায় রয়েছে প্লট জমি ও তার এলাকায় সেনবাগে শত বিঘা জমি ক্রয় করেছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এলাকা সুত্রে জানা যায় শুভ হোটেল রোডের বাড়ি নং ৩৪৯, জাহানারা জামাল ভিলা, গাওয়াইর, দক্ষিণখান এই বাড়িটিতে রহিমউদ্দিন রয়েছে নিজের ফ্ল্যাটের পরেও সে এই ০৭ তলা বাড়িটি নিজের দখলে নেওয়ার জন্য এই বাড়ির বাসিন্দা জাকিয়া সুলতান সুবর্ণাকে লোভ দেখিয়ে টোপে ফেলে অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের তাড়ানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে এদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ও দক্ষিণখান থানার কিছু অসাধু পুলিশ অফিসারকে হাত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। থানা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে নিরীহ বাসিন্দাদের হয়রানি করছে।

যেটা এলাকাবাসী জানে জাকিয়া সুলতানা সুবর্ণাকে দিয়ে ৩৪৯ নং বাড়ির বাসিন্দাদের নামে ছিনতাই ও নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা। রহিম উদ্দিন ও জাকিয়া সুলতানা সুবর্ণার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এই বাড়ির এক বাসিন্দা গত ছয়/সাত আগে নামমাত্র মূল্যে ফø্যাট বিক্রি করে দিয়ে চলে যান। ঐ বাড়ির বাসিন্দাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে যাবার জন্য নানাভাবে হুমকি দেয় এছাড়া ফ্ল্যাট ছেড়ে না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এমনকি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরীহ বাসিন্দারা অতিষ্ট হয়ে রহিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একাধিক জিডি করে ও বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ঢাকা মামলা করেন।

রহিম উদ্দিন, পিতা- সৈয়দ আহম্মেদ, মাতা- বেগমের নেছা এর বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় জিডি রয়েছে। জিডি নং ১৩০৩, তারিখ- ২২/০৫/২০১৮ ইং, জিডি নং ১০৯৪, তারিখ- ১৮/০৫/২০১৯, জিডি নং- ৫২৭, তারিখ ২৩/০৭/২০১৯ইং, জিডি নং ৩৩৬, তারিখ ০৬/০৪/২০১৯ইং, জিডি নং- ৬৪১, তারিখ- ২৫/০৪/২০১৮। এছাড়া সাবেক দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদের মামলা নং ১২/১৯, আদেশ নং- ২, তারিখ- ০৯/০২/২০১৯ ইং প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ঢাকা এর সি আর মামলা নং ৩০৬/২০১৯ ইং, তারিখ- ৩০/০৭/২০১৯ইং এবং সি আর মামলা নং ৩০৭/২০১৯, তারিখ- ৩০/০৭/২০১৯ ইং রজু করা হয়।

মামলার বাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম খান ও সেলিম রেজা এই প্রতিবেদককে জানালেন রহিম উদ্দিন ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে আমরা মামলা করতে বাধ্য হয়েছি কিন্তু এই মামলা পাচারকারী রহিম উদ্দিন দক্ষিণখান থানার অসাধু পুলিশ অফিসারদের ঘুষ দিয়ে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে পুলিশের এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি নং ৩৩৯ এর এক ফ্ল্যাটের মালিক শিরীন আক্তারের কেয়ার টেকার কালীপদ, পিতা- কুন্ড অধিকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরারর সুবিচার চেয়ে গত ২৫/০৭/২০১৯ ইং আবেদন করেন। এ ব্যাপারে পুলিশের ডিসি উত্তর বিভাগ বিষয়টি তদন্ত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে রহিম উদ্দিনে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবী এই দুর্ধর্ষ মানব পাচারকারী রহিম উদ্দিনের অবৈধ অর্থ ও তার ক্ষমতার উৎস কোথায় তা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর শান্তি রক্ষার স্বার্থে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আইনগত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থ নেওয়া হোক। কি করে একজন সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি গার্ড লক্ষ কোটি টাকার মালিক হন তা এলাকাবাসীর ও সূশীল সমাজের জিজ্ঞাসা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 − ten =