এয়ারপোর্টে প্রবাসীর লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি৷ চট্রগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মীরা লাগেজ কে’টে রেখে দেয় মুল্যবান জিনিসপত্র। প্রতিদিন ঘটছে এমন ঘটনা৷ নিজ দেশের এয়ারপোর্টে পৌছে একজন প্রবাসির কষ্টার্জিত মালামাল চুরি হলে তার কতটুকু কষ্ট লাগবে সেটা বলার বাহিরে৷
জানা গেছে গত ৭/১২/২০১৯ তারিখে দুবাই হতে ফ্লাই দুবাই বিমানে চট্রগ্রাম আসেন এক প্রবাসী৷ দেশের মাটিতে পা রাখার পর নিজের লাগেজ নিতে গিয়ে দেখেন, তার লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে৷ সাথে সাথে ওই প্রবাসী লাগেজ কাটার প্রতিবাদ করেন৷
সিকিউরিটি অফিসারদের বলেন তার লাগেজ কা’টার সম্পর্কে৷ কিন্তু মহিলা সিকিউরিটি অফিসার বলেন, চুরি দুবাই এয়ারপোর্টে হয়েছে৷ চট্রগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মীরা এধরনে কাজ করতে পারে না৷ আপনার হয়তো কোথাও ভূল হচ্ছে৷ আমরা সব সেবা সতর্কতার সঙ্গে দিয়ে থাকি৷
অন্য দিকে লাগেজ’র মালিক প্রবাসী জোর গোলায় বলেন, লাগেজ কাটার ঘটনা চট্রগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মীরা করেছেন৷ জানা গেছে, ওই প্রবাসী ভাইয়ের কথা কেউ আমলে নিচ্ছেন না৷ সিকিউরিটি অফিসার’রা তাকে বারবার বলেন, এই চুরি দুবাই এয়ারপোর্টে হয়েছে৷ কিন্তু তা মানতে নারাজ প্রবাসী ভাই৷
প্রবাসীর দাবি, এয়ারপোর্টের বড় কর্তারা এসব জানার পরও, চোরদের চাকুরিতে বহাল রেখে চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রবাসীরা,তদন্তপূর্বক এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিকার করা হোক৷
কেন না হাজারো স্বপ্ন নিয়ে,পরিবারের মুখে ভাল ভাবে খাবার তুলে দিতে দিনের পর দিন নিজের মাতৃভূমিকে ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করেন প্রবাসী’রা৷ এরপর দিন শেষে কিছু অর্থ বা পরিবারের জন্য উপহার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন, ঠিক এমন সময় যদি, কয়েক জন অসৎকর্মীর জন্য তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়, তবে এর থেকে বড় কষ্টের আর কিছু হয় না৷ বাংলাদেশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে, এদের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি দেওয়া হোক৷