একটি অন্যরকম সামাজিক ব্যাধি হলো ঘুষ। ঘুষ নেই এমন সেক্টর খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর।আগে তো বাঁজিয়ে ঘুষ নিত। এখন তো এমন বলতে শোনা যায় কাজ করি কিছু তো দিবেনই। আবার বলে, ভাই আমি ঘুষ খাইনা। খুশি হয়ে যা দেন। আর খুশি হয়ে যদি না দেয়া হয়, তখন নানা ধরনের নিয়মের ফেরকায় পড়তে হয়।
সে নিয়ম হতে উত্তোরন পেতে পারেনা কোন মানুষ। সুতরাং, শতভাগ ঘুষ বন্ধ হবে এ গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তবুও আশা জাগানিয়া দুদক। এই একমাত্র দুদকের কারনেই ঘুষের রেট কমেছে, প্রকোপও কমেছে। সেই একইরকম ভাবে ঘুষ গ্রহনকারীর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফাঁদ নাটকে পড়ে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) এক কর্মকর্তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৬ই ডিসেম্বর,২০১৯ইং, শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক সুত্রে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর ও কনসালট্যান্ট এইচ এম রাশেদ সরকারকে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ উত্তরার বিএফসি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাইসেন্স যাচাই পূর্বক বাণিজ্যিক পাইলট পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই ঘুষ নেন তিনি।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল এই ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে । এ ঘটনায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১–এ মামলা হবে বলে জানিয়েছে দুদক ।