বাকেরগঞ্জ থানার ওসি’র ষড়যন্ত্রের শিকার গণমাধ্যম কর্মীরা

1
1364

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালামের কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তার অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষেপেছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। তার অসংলগ্ন কথাবার্তার স্পর্ধা দেখে হতবম্ভ বাকেরগঞ্জের মিডিয়া কর্মীরা। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিপরীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পথে হাঁটছেন। এই বিতর্কিত ওসি’র অনৈতিক আয়ের বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে রোষানালে পড়েন দৈনিক তারুণ্যের বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কবির গাজী।একটি বানোয়াট চাঁদাবাজী মামলায় আসামি করে তাকে হেনস্তা করা হয়। ওসি’র মদদে সৃষ্ট এই কাল্পনিক মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দৈনিক প্রথম সকাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশ, বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহা. সফিক খান,

দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকার প্রতিনিধি ইমরান খান সালাম, দৈনিক প্রথম সকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জিয়াউল হক আকন, বরিশাল খবর পত্রিকার সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, দৈনিক কলমের কন্ঠ পত্রিকার মাসুদ রানা, দৈনিক ন্যায়-অন্যায় পত্রিকার জয়দেব সাহাসহ সাংবাদিকদের একটি টিম ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলায় উল্লেখিত ঘটনা পুরোটাই সাজানো এবং ওসি আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের তদন্তটিম ওসি’র কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার কবির গাজীর ব্যক্তিগত-পারিবারিক বিষয় উল্লেখ করে গালাগাল করেন। এসময় এমন এলোমেলো আচারণের কারণ জানতে চাইলে তিনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে সকল সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করেন।

এছাড়া এই ওসি’র বখরা আদায়সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিলেন সাংবাদিক জিয়াউল হক আকন। এর জের ধরে জিয়াকে হেনস্তা করার মিশনে নামেন ওসি আবুল কালাম। নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিকল্পনার ছক আঁকতে থাকেন তিনি।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ বাস্তবায়ন করা হয় পাঁচ মাস আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার বিকৃত রূপায়নের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় সূত্রমতে, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার আগাবাকের লেন এলাকার একটি ফ্লাটে ইয়াবা ও নারী নিয়ে চলছিল রঙ্গলীলা। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই ফ্লাটে হানা দিয়ে রঙ্গলীলায় অংশ নেয়া নারীসহ জড়িত পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়।

ওই ঘটনাকে পুঁজি করে লাখ টাকার বাণিজ্য করে ওসি আবুল কালাম। এই ঘুষ বাণিজ্যের ঘটনার আদ্যপান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করেন সাংবাদিক জিয়াউল হক আকন। এছাড়া হত্যা, ধর্ষণের মত নানা ধরণের স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে ওসি’র ঘুষ বাণিজ্যের দুর্গে হানা দেয় সাংবাদিক জিয়া।

সূত্র জানায় নানা কারণেই প্রতিবাদি সাংবাদিকদের দমাতে সবসময়ই তৎপর ছিলো ওসি আবুল কালাম। এর ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত রঙ্গলীলায় অংশ নেয়া উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের ফাতেমা নামের এক চরিত্রহীনা নারীকে দিয়ে শ্লীলতাহানীর গল্পকাহিনী বানিয়ে সাংবাদিক জিয়াকে আসামী করা হয়।

মামলায় উল্লেখিত ঘটনার ভিত্তিহীনতার তোয়াক্কা না করে নিজের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের ওসি এই মামলার মদদ দিয়েছেন এমন তথ্য সাংবাদিকদের হাতে পৌছেছে। এদিকে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে অব্যহত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ঐক্যবন্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হতে পারে “দুর্ণীতিবাজ ওসি হটাও, গণমাধ্যম বাঁচাও”।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 10 =