নামাজ মানুষকে মমতা শিক্ষা দেয়

0
810

সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য নামাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নামাজ মানুষকে মমতা শিক্ষা দেয়। নামাজ সব ধরনের বদ অভ্যাস থেকে দূরে রাখে। নামাজ ভালো মানুষ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। নামাজ মানুষকে বিনয়ী হতে শেখায়। নামাজ শৃঙ্খলা শিক্ষা দেয়। যেসব ছেলেমেয়ে নামাজ পড়ে, তাদের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, পড়াশোনা ও ঘুমানোর মধ্যে এক ধরনের শৃঙ্খলা থাকে। তাই সন্তানের ভবিষ্যৎ সাফল্য লাভের জন্য দুশ্চিন্তা না করে শৈশব থেকে নামাজের আদেশ দিতে হবে।

ইবরাহিম (আ.) তার সন্তানরা যেন নামাজি হয়, সেজন্য তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও। হে আমার রব, আর আমার দোয়া কবুল করুন।’ (সূরা ইবরাহিম : ৪০) পরিবার হলো সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ।

মা-বাবা হলেন সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষক। সন্তানের বড় কোনো সাফল্যে যেমন মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল হয়, তেমনি সন্তানের অপকর্মের জন্য অনেক মা-বাবাকে জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করতে হয়। যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন, তারাই আবার সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়কালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

আজকাল আশপাশের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব, প্রযুক্তির অপপ্রয়োগ ও অপসংস্কৃতির আগ্রাসনের কারণে অনেক ছেলেমেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের কেউ কেউ বিভিন্ন অনৈতিক-অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে নামাজই একমাত্র বখে যাওয়া সন্তানের নৈতিক মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কারণ, নামাজ আত্মার বিকাশ ঘটায়।

নামাজ মানুষের বোধশক্তিকে জাগ্রত করে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সূরা আনকাবুত : ৪৫) তাই শৈশব থেকে নামাজের প্রতি আদেশদানের জন্য হাদিসেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমর ইবনে শুয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সালাতের জন্য নির্দেশ দাও, যখন তারা সাত বছরে উপনীত হয়। আর ১০ বছর হলে তাকে প্রয়োজনে প্রহার করো, আর তাদের মাঝে বিছানা পৃথক করে দাও।’ (আবু দাউদ : ৪৯৫)।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + 9 =