কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক উপায়ে বালাইদমন তত্ত¡ উদ্ভাবনে সাফল্য অর্জনে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত জেলা কৃষি অফিসার (সিটিএস) কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক আর নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি বগুড়ার একটি হাসপাতালে তার কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল। এই অবস্থায় গত ২ জানুয়ারি তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে প্রথমে শজিমেক হাসপাতালে ও পরে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রফেসর ফজলুল হকের সাথে। তিনি জানান, রোগির মাথায় রক্ত জমাট বেধেছে।
তাছাড়া কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। এখনও জ্ঞান ফিরে আসেনি। এসময় কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আব্দুস সাকুর জানান, সোফায় বসে থাকা অবস্থায় তার স্ট্রোক হয়েছে। সাথে সাথে হাসপাতালে এনেছি।
সেই থেকে তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। অবশেষে তিনি রবিবার ৪.৫০ ঘটিকার সময় উক্ত হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উল্লেখ্য যে, কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক দেশের নানাস্থানে কৃষি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
একসময় তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান ধারণ ও উপস্থাপন করেছেন। ২০১০ সনে তিনি জেলা কৃষি অফিসার (সিটিএস) পদ থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। সর্বশেষ তিনি কাজিপুর সাহিত্য পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজের উপদেষ্টা ও কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
সেইসাথে সামাজিক বনায়ন ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ নামে কাজিপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান শুরু করেন। এছাড়া তিনি রেডিও সোনামুখী এফএম ৮৭.৬ নামের একটি রেডিও চ্যানেল চালু করেন।
সেখানে নিয়মিত তিনি সংবাদ পর্যালোচনাসহ গঠনমূলক নানা অনুষ্ঠান প্রচার করতেন। তিনি সোনামুখী অন্বেষা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা। এই যাদুঘরকে তিনি নতুন পুরাতন নানা উপরণাদি সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ করেছেন। তার মৃত্যুতে সারা কাজিপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।