সিলেটের বিশ্বনাথে পু’লিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নি’হত ফটিক ওরফে লিটনের স্ত্রী’ হালিমা বেগম অ’ভিযোগ করে বলেন, ‘আমা’র স্বামীকে পরিক’ল্পিতভাবে হ’ত্যা করা হয়েছে। দুই বছর দুই মাস পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিনে মুক্ত করি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় জে’লগেট থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পু’লিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে স্বামীর লা’শ ফেসবুকে দেখে শনাক্ত করি। থানায় এসে শুনি পু’লিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে তিনি মা’রা গেছেন।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে তার ম’রদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ম’রদেহ নিয়ে বিশ্বনাথের বৈরাগী ইউনিয়নের নদার পূর্বপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় হালিমা বেগম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমা’র চার বছরের একটা ছেলে আছে, আমি এখন কই যাব ছেলেটারে কী’ খাওয়াব। স্বামী রঙের কাজ আর কাঁচামাল বিক্রি করে যখন যা পেত তা করে পরিবার চালাত। সে ডা’কাত হতে পারে না। কিন্তু পু’লিশ আমা’র স্বামীকে ডা’কাত বানাইছে। আমি এর বিচার চাই।’
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের ম’রমপুর-সুরিরখাল এলাকায় পু’লিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নি’হত হন ফটিক ওরফে লিটন। নি’হত ফটিক সিলেটের বিশ্বনাথের পূর্বপাড়া গ্রামের মৃ’ত ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
পু’লিশের দাবি, তিনি ডা’কাত দলের অন্যতম সদস্য। তার বি’রুদ্ধে ১৭টি ডা’কাতি মা’মলাসহ ২১টি মা’মলা রয়েছে। ব’ন্দুকযু’দ্ধে পু’লিশের তিন সদস্যও আ’হত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে নি’হত ডা’কাত সদস্যের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোম’রে থাকা তিনটি তা’জা কার্তুজ ছিল।
নি’হত ফটিকের স্ত্রী’ অ’ভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) শামীম মু’সা বলেন, রাস্তায় গাছ ফেলে ডা’কাতির প্রস্তুতিকালেই পু’লিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নি’হত হন ফটিক।
তিনি আরও বলেন, ডা’কাতিসহ সকল প্রকার অ’প’রাধ দমনে থানা পু’লিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।