অপহরণ ও গুম থেকে উদ্ধার হওয়া নোমান পাটোয়ারী ও তার পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন

0
535

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার  খিলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নোমান পাটোয়ারীকে টাকার বিনিময়ে অপহরণ ও গুম করার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ি থানার ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।আজ ২৭ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২০ বৃহস্পতিবার  দুপুরে নিজ বাড়িতে অপহরণ ও গুম থেকে উদ্ধার হওয়া নোমান পাটোয়ারী ও তার পরিবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

       

নোমাম পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে  বলেন,  রাতে আমাকে চোখ বেধে সোনাইমুড়ী থানা থেকে হত্যার উদ্দ্যেশে পুলিশের গাড়ীতে করে বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ড ও নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। কিন্তু এলাকা বাসী থানা ঘেরাও করলে পরে পুলিশ চাটখিল থানায় হস্তান্তর করে।

অপহৃত যুবলীগ নেতার পিতা ইউপি মেম্বার  আব্দুর রহিম বলেন, আমার ছেলেকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে সোনামুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ হয়রানি  মূলকভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নোয়াখালী আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সকাল ১১ টায় জামিন থাকা শর্তেও তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্তু রাত পর্যন্ত অপহরণ বা আটক করার বিষয়ে ওসি আব্দুস সামাদ অস্বীকার করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাটখিল থানা থেকে রাত ১ টায় আমরা তাকে উদ্ধার করি।

এদিকে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অনিল পাল বাবু জানান, সে এলাকার সকলের সাথে মিলে মিশে কাজ করে। তার অপহরণের বিষয়টি শুনে আমারা অবাক হয়ে যাই। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি উদ্দ্যেশ্যমূলক।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নোমান পাটোয়ারীর পিতা আব্দুর রহিম খোরশেদ মেম্বার, মা নিহার বেগম, স্ত্রী নুসরাত জাহান চৌধুরী, হিন্দু সম্প্রদায়ের অনিল পাল বাবু, অলক বাবু সহ এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ  সোনাইমুড়ি থানার ওসি আব্দুস সামাদ সাংবাদিকদের মুটোফোনে অস্বীকার করেন।

উল্লেখ্য বুধবার সকাল ১১ টায় নোয়াখালী জেলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি অপহরণ করে হাত ও চোখ বেধে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানায়। পরে এলাকাবাসীর ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় তাকে চাটখিল থানা থেকে রাতে উদ্ধার করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 + 2 =