দিল্লী অগ্নিগর্ভ সহিংসতা ও সংঘর্ষে। চারদিকে শুধু আর্তনাদ আর রক্ত। আর্তনাদের কোনো ধর্ম নেই। রক্তের রঙে ভেদাভেদ নেই।কলকাতার একটি গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এলো নির্মমতার এমনই এক চিত্র। সেখানে বলা হচ্ছে- জিটিবি হাসপাতালে মর্গের সামনে দীর্ঘ লাইন। কম করে ৫ থেকে ৬টি পরিবার দাঁড়িয়ে লাইনে।
লাশ চিহ্নিত করবেন তারা। পরিবারগুলোর কান্নায় ধর্ম নেই। হিন্দু-মুসলমান মিলে মিশে দাঁড়িয়ে। নিজেরা নিজেদের স্বান্তনা দিচ্ছেন।২৬ বছরের রাহুল সোলাঙ্কি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিথর দেহে পড়ে আছেন। পাশেই আরেকটি মরদেহ। পাশেই বসে রয়েছেন ৬৪ বছরের সদরুদ্দিন।৩২ বছরের ছেলে মোহাম্মদ ফুরকানকে হারিয়েছেন তিনি। বুলেট তার শরীরের এক পাশ দিয়ে ঢুকে বেরিয়েছে আরকে পাশ দিয়ে। তিনিও ছেলের দেহ সনাক্ত করবেন।সোমবার থেকে ওই পরিবারগুলো হাসপাতাল ছাড়েননি। লাশ নেয়ার অপেক্ষায় সময় যাচ্ছে তাদের। ২৬ বছরের শাহবাজ আলম চিৎকার করে কাঁদছেন। ওর প্রিয় বন্ধু আর নেই।তিনি বললেন, ‘ওকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন মৃত। মরদেহগুলো কখন পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে, দুদিন ধরে হাসপাতাল কিছু জানাচ্ছে না।’