গো- রক্ষকদের জন্য এই খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে, গো- মাংসের বড় কোম্পানির মালিক মোদী ঘনিষ্ঠ। দাবী করা হয় গো-হত্যা একটি হিন্দু নারীকে ধর্ষণ বা মন্দির ভাঙার সমান।তাহলে, ভারতে ছয় বৃহত্তম গরুর মাংস রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির মধ্যে চারটি হিন্দু ব্রাহ্মণ গোত্রীয় কেন? গো-রক্ষকরা কেন চোখ বুজিয়ে? উত্তর নেই।
গো-মাংসের ব্যবসার মুনাফা ব্রাহ্মণ গোত্র পেলেও গোমাংস ও গো-হত্যা নিয়ে ৯০ শতাংশ মুসলমান ও দলিতদের দায়ী করা হয় ও সেই অজুহাতে হত্যা করা হয়।
অনেকে মনে করছেন, গো-মাংস ব্যাবসা-বানিজ্যে আরো উন্নতি করতেই পরিকল্পিত ভাবে আক্রমন করা হয় দলিত,মুসলিম দের।
সত্যই যদি গো-হত্যা বন্ধ করার ইচ্ছা থাকত তাহলে, মোদি সরকার শিল্পের পদোন্নতি না করে গরুর মাংস শিল্পের পদন্নোতিতে শীর্ষ স্থান লাভ করত না।
বিশ্বের মধ্যে গো মাংস রপ্তানিতে ব্রাজিলকে টপকে প্রথম স্থান দখল করেছে ভারত। ব্রাজিল দু নম্বর স্থান দখল করেছে। এবার জানিয়ে রাখি ভারতের গোমাংসের বড় কোম্পানির মালিক একজন ব্রাহ্মণ।
দেশের প্রথম স্থান অধিকারী কোম্পানির মালিকের নাম ইন্দিরা নুয়ি। যিনি একজন তামিল ব্রাহ্মণ। ইন্দিরা নুয়িকে অনেকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা গিয়েছিল। তখনই তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত লাভ করেন।
তিনি যখন ভারতে আসেন প্রায়ই সময় বিভিন্ন বড় বড় মন্দির দর্শন করতেন ও মন্দিরে গিয়ে অনুষ্ঠান করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মসনদে যখন থেকে মোদি সরকার আসে তখন থেকে বাইরের দেশে গোমাংস এক্সপোর্ট ১৫ শতাংশ অধিক বেড়ে যায়।
মোদি সরকারের শাসনকালে বাইরের দেশে গোমাংস এতটাই রপ্তানি হয় যে বিশ্বের মধ্যে গো মাংস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ব্রাজিল কে টপকে এক নম্বর স্থান লাভ করে মোদি সরকারের বর্তমান ভারত।
ইন্দারা নুয়ির মাংস কোম্পানির নাম পেপসিকো। যেটা ম্যাটাডোর (Matador) প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে বাজারে সাপ্লাই হয়। ইন্দ্রা নুয়ি’র পেপসিকো কম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভালো প্রভাব বিস্তার লাভ করেছে।
ম্যাটাডোর প্রোডাক্টের যত গোমাংস প্রয়োজন সেটা ভারত থেকে ইন্দিরা নুয়ির কোম্পানি পেপসিকোর মাধ্যমে রপ্তানি হয় বলেই জানা যাচ্ছে।