আনোয়ার হোসেন আনু: সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ছোবলে হতাহতের পাশাপাশি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী। এতে সীমাহিন কষ্ট আর অর্থনৈতিক দৈন্যতায় পরেছেন ৫লাখ পরিবার। বিধ্বস্ত হয়েছে ১১ হাজার কাঁচা ঘর-বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। এছাড়া প্রায় ২শ’ কি.মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম। ম্লান হয়ে যাচ্ছে ঈদ আনন্দ। জেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, ঘূর্নিঝড় আম্ফানের ছোবলে উঠতি রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে,বাদাম,মরিচ,মিষ্টি আলু,ফেলন,নানা জাতের শাক-সবজি এবং আউশের বীজতলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি। ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। যা কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাযায়, এ ঘূর্নিঝড়েরর প্রভাবে গাছ চাপায় এক শিশুসহ নিহত হয়েছে ২জন। আহত হয়েছে অন্তত: শতাধিক মানুষ। নিখোঁজ হয়েছে হাঁস-মুরগীসহ অনেক গবাদি পশু। সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ৩শ’ ৫৫টি ঘড়বাড়ি। আশিংক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৮ হাজার ১শ’ ২১টি।
১শ ৭০ মিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ন এবং ১৫ কি.মিটার আশিংক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৫ হাজার ৪শ’৫৪টি পুকুর এবং ৬শ’২৩টি মাছের ঘের ৪/৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ৪০ ভাগ ম্যাগ্রোভ বাগান এবং ১০ ভাগ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে পানির নিচে তলিয়ে গছে জেলার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া লঞ্চঘাটের পন্টুন। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছেন উপজেলার ৫ চর ইউনিয়নের লাখো মানুষ।
এ ব্যাপরে পটুয়াখালী নৌ-বন্দরের উপ-পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, পন্টুনটির সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ঘনটাস্থল পৌছেছে। ২/১ দিনের মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।