উপজলা চেয়ারম্যানে কে চাদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলার অভিযোগ

উপজলা চেয়ারম্যানে কে চাদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলার অভিযোগ

0
698

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানকে চাদা টাকা না দেওয়ায়, মেসার্স হাওলাদার টেডার্স এর দুই কর্মচারীকে, চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিল কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। মেসার্স হাওলাদার টেডার্স এর স্বত্বাধিকার তারেক হাওলাদার। সোমবার বরগুনায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ সুত্রে জানাজায় বরগুনার তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য এলাকার লোকজন ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করার কোন সাহস পায়না। সেইভ তালতলী নামের একটি সংগঠন খুলেও উপজেলার সকল দোকান থেকে চাদা তুলেছেন । আবার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাহিদামতো চাঁদার টাকা না দিলে সেই প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে। মেসার্স হাওলাদার টেডার্স এর স্বত্বাধিকার মো. তারেকউজ্জমান তারেক হাওলাদারের কাছে প্রতিনিয়ত মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন।চায়না তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবসা করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হবে নয়তো ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না সেই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইয়াবা হুমায়ুন সহ ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার কর্মীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন হাওলাদার টেডার্স এর স্বত্বাধিকার মো. তারেকউজ্জমান তারেক তিনি বলেন চায়না প্রকল্প তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমার ম্যানপাওয়ার ও ভাঙ্গারির ব্যবসা রয়েছে । উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দারের ও ম্যানপাওয়ার ও ভাঙ্গারির ব্যবসা রয়েছে । তিনি আমাকে এখানে ব্যবসা করতে দিবেন না বলে বারবার মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজনকে দিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করছেন কিছুদিন পূর্বে তার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী পার্টনার মশিউর এর লোকজন চোরাই মাল সহ ধরা পড়ে । উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দারের লোকজন পুরোনো মালামাল চুরি করে নেয়। যার সাথে সরাসরি জড়িত উপজেলা চেয়ারম্যান। এবিষয়ে হাওলাদার টেডার্স এর লোকজন বাধা দিলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে হুমায়ুনসহ ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার কর্মীদের এই মারধর করিয়েছে তিনি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। অভিযোগ সুত্রে আরো জানাগেছে মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্স এর দুই কর্মী ইমরান ও আলমগীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে ২৩ মে বিকেল ৫টার দিকে খোট্টারচর এলাকায় হুমায়ুন বাহিনীর প্রাধান বাবা হুমায়নের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। পরে ইমরান ও আলমগীরকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে শুরু করে। এ সময় আমলগীর কোনো মতে মোটরসাইকেল থেকে নেমে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ইমরান কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। এতে মটরসাইকেলটিও ভেঙ্গেচুরমার করা হয় ও সাথে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নেন। এদিকে আমগীরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঘটনায় তালতলী থানায় একটি মারধরের মামলা করা হয়েছে। আহত ইমরান বলেন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ইয়াবা হুমায়ুন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবীর জোমাদ্দারের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সব সময়ই তাপবিদ্যু কেন্দ্র চাঁদাবাজি করেন। এতে বাঁধা দিলে হুমায়নের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে টাকা পয়শা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এই হুমায়ুন ভিবিন্ন সময় তাপবিদ্যু কেন্দ্রর পাশে থাকা দোকানে চাঁদার টাকা নিচ্ছে এবং চাদা দাবি করে আসছে। তিনি আরও বলেন তাপবিদ্যু কেন্দ্রের পুরাতন চোরাই মালামাল উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজেই বাবা হুমায়ুনকে দিয়ে তাপবিদ্যু কেন্দ্রর ভাংঙ্গারি মালামাল ও চুরি করে বিক্রী করে আসছে । অভিযোগে তিনি আরো বলেন নির্বাচনকালীন সময় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিদ্রা এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে থেমে থাকেনি তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকাণ্ড, জমি দখল, দুর্যোগ সহনীয় ঘর স্বজনপ্রীতি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরোদ্দে । চায়না তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সন্ত্রাসী হামলা দোকানপাট লুটপাট কি করছেনা তার এই সকল সন্ত্রাসী বাহিনী। এবার মহামারি করোনা ভাইরাসও তাঁর ওইসকল বিতর্কিত কর্মকান্ডকে ঠেকাতে পারেনি। এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বলেন,এবিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে তদন্ত চলছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × two =