চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরীঘাটে যাত্রীদের অশোভনীয় কষ্টের দিকে তাকিয়ে অবশেষে চট্টগ্রামে কুমিরা সন্দ্বীপ সাগরে ব্রীজ নির্মাণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রামের দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ক্ষুদে স্কুল ছাত্রীর তৃষ্ণা রাণী দেবনাথ আকুল আবেদন জানিয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, তৃষ্ণার গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকা হলেও সম্প্রতি স্কুল ছাত্রী তৃষ্ণা করোনাকালে কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরীঘাট এলাকায় ঘুরতে গেলে এ সময় সে স্থানীয় এলাকার লোকজনের সাগর পারাপারে ব্যাপক কষ্ট দেখে নিজেকে সামলিয়ে রাখতে না পেরে অবশেষে উক্ত স্কুল ছাত্রী তৃষ্ণা নিজের হাতেই চিঠি লিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নিজের আবেগঘন অনুভুতির আবেদনগুলি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করেছেন। তৃষ্ণা আরো উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রামসহ দেশের স্থানের সাথে সাগর পথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যে কোন সময় শিশু ও বয়স্ক রোগীরা রোগাক্রান্ত হলে চট্টগ্রাম শহরে চিকিৎসার আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাগর পথেই মারা যায়। এমনকি সন্দ্বীপ স্কুলÑকলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে সম্পর্ণূ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে হয়।
তৃষ্ণা তার আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, সন্দ্বীপের মতো এমন জনবহুল দ্বীপপূর্ণ এলাকায় কেবল মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে লক্ষ লক্ষ জনগণ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে আসা যাওয়া করে। এমনকি সাগর উত্তাল থাকার কারণে অধিকাংশ সময় ছোট ছোট নৌকা ও স্প্রীডবোট গুলি দূর্ঘটনায় পতিত হয়। ইতিমধ্যে এ দূর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
তৃষ্ণা তার আবেদনে আরো করেন, উক্ত সন্দ্বীপের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মা শেখ হাসিনা একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দিলে তার মতে সন্দ্বীপের দ্বীপ এলাকার জনগণ তাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব করবে। এমনকি উক্ত সন্দ্বীপের সাথে তখন সকল প্রকার যোগাযোগ স্থাপন হলে দ্বীপপূর্ণ সন্দ্বীপ এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নিমার্ণ করে এলাকার জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ও সরকারও প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে পারবে।
শুধু তাই নয়; দীর্ঘতম এ সাগর পথে ব্রীজ নির্মাণ করলে প্রতি বছর ব্রীজ টোলের মাধ্যমে সরকার ব্যাপক অর্থনৈতিক ভাবে টোল আদায় করে দেশের উন্নয়নে রাজস্ব আয় করতে পারবেন। যে অর্থ দিয়ে দেশের সামাজিক যোগাযোগ সকল মাধ্যমে উক্ত অর্থ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যবহার করতে পারবে দেশের সরকার।
তৃষ্ণা তার আবেদনে বলেন; বিশেষ করে আমার মতো স্কুলগামী শিশুরা সন্দ্বীপ এলাকায় উন্নত চিকিৎসা না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে। কেবলমাত্র একটি ব্রীজ নির্মাণ অসংখ্য শিশু ও বৃদ্ধরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। অবশেষে কুমিরা সীতাকুন্ড সন্দ্বীপ ফেরাঘাটে ব্রীজটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী আমাদের মা শেখ হাসিনার নিকট একান্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, এ ক্ষুদে শিক্ষার্থী তৃষ্ণা রাণী দেবনাথ বহুল প্রচারিত দৈনিক আজকালের দর্পন পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথের বড় মেয়ে। তৃষ্ণার ছোট ভাই তনয় কান্তি দেবনাথ চট্টগ্রাম শহরের আহমদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।