মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে দফতরের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস বলেন, রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধ, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য নতুন প্রচেষ্টা এবং মানবিক সহায়তার জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার করার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তিন বছর আগে যখন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী এবং শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংস আক্রমণ শুরু করে, তখনও যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার এবং দায়ীদের জবাবদিহির আহ্বান জানায়। পরবর্তী সময়ে নির্যাতনের জন্য দায়ীদের বিচার ও জবাবদিহি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত ইউনিটগুলোর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা, জাতিসংঘের তদন্ত ব্যবস্থাকে সমর্থন করা এবং মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কার্যক্রমে অংশ নিতে উৎসাহিত করা।
বিবৃতিতে কফি আনান উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারকে জোর প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানানো হয়।