চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে

0
291

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,  এমপি বলেছেন- দেশে চা’র চাহিদা বাড়ছে, বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তাত, মধ্যপ্রচ্যের রিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  চা’র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, একই সাথে চা বাগানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য চা বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার “ উন্নয়নের পথনকশা ” গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন চলছে।  চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি বিষয়টি সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২৩ আগষ্ট) ঢাকায় সরকারী বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, এমপি উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টি বোর্ডের “উন্নয়নের পথনকশা” বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাংগালী চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে । দিন দিন চা’র অভ্যন্তরিন চাহিদা বাড়ছে। সে কারনে প্রত্যাশিত রপ্তানি বাড়ছে না। চা’র উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশন এর উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এবিষয়ে আন্তরিকার সাথে সবধরনের সহযোতিা করার আশ^াস দেন।

উল্লেখ্য, দেশে ২,৭৮,১৪১.৬৯একর জমিতে ১৬৭টি চা বাগানে ২০১৯ সালে ৯৬.০৭মিলিয়ন কেজি চা উৎপাতি হয়েছে। এসময় অভ্যন্তরিন চায়ের চাহিদা ছিল ৯৫.২০ মিলিয়ন কেজি।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম,এনডিসি,পিএসসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম, সদস্য আরদাশির কবীর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব(রপ্তানি) জিনাত আরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven + 20 =