আজ এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী

0
318

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৫ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে সিলেটে ও তার নিজ গ্রাম মৌলভীবাজার জেলা সদরের বাহাদমর্দন গ্রামে কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর দরগাহ মসজিদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মহানগর বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার বরেণ্য রাজনীতিবিদ, অর্থনৈতিক সংস্কারক ও সিলেট বিভাগের রূপকার সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারে মরহুম এম. সাইফুর রহমানের কবর জিয়ারত। বাদ আসর হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

মরহুমের কবর জিয়ারতে অংশগ্রহণের জন্য মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির ভাতালিয়ার বাসভবনে সকাল ১০টার মধ্যে উপস্থিত থাকার বিশেষ অনুরোধ করেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম সিদ্দিকী।

মরহুম এম সাইফুর রহমান কর্মময় জীবনে তার অনন্য আন্তরিকতার গুণে নিজেকে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। মৌলভীবাজারের বাহারমর্দনের সন্তান এম সাইফুর রহমান দেশের অন্যতম অর্থমন্ত্রী, যিনি ১২ বার সংসদে বেশ সফলতার সঙ্গে বাজেট পেশ করেছেন। নিজ জন্মস্থান মৌলভীবাজারসহ পুরো সিলেট বিভাগেই তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেন।

১৯৩২ সালের ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজারের বাহারমর্দনে জন্ম নেয়া এই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ গ্রামের মক্তব ও পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৪০ সালে জগৎসী গোপালকৃষ্ণ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর ১৯৪৯ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মেট্রিকুলেশনে উত্তীর্ণ হন। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে আইকম পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য লন্ডনে চলে যান। সেখানে পৌঁছার পর মত পাল্টে যায় তার ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন পরিবর্তন করে লেখাপড়া করেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসে। ১৯৫৩-৫৮ সময়কালে পড়াশোনার পর ১৯৫৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ফেলোশিপ অর্জন করেন। ১৯৬০ সালের ১৫ জুলাই বেগম দুররে সামাদ রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ২০০৩ সালে তার স্ত্রী ইন্তেকাল করেন। ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী গ্রামের বাড়ি বাহারমর্দনে তাকে দাফন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × one =