করোনা মহামারির কারণে বর্ধিত ৬০ শতাংশ বাসভাড়া প্রত্যাহারের পাশাপাশি পূর্বের ভাড়া নৈরাজ্য নিরসনের দাবি করেছে বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। আজ ২৬ আগষ্ট ২০২০ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ করোনা মহামারিতে সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ও উগান্ডাই শুধুমাত্র কর ও ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। অন্যান্য দেশ উল্টো জনগণকে কত সুবিধা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। লকডাইনে গণপরিবহন খোলার সময় মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। শর্ত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাশের ছিট খালি থাকবে। যদিও প্রথম প্রথম এ নিয়ম পালন করা হলেও পরবর্তীতে পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় কোন শর্তই পালন করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আগামী ১লা সেপ্টেম্বর বাড়তি ৬০ শতাংশ ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে গণপরিবহন। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই পূর্বে যখন সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকার পরিবর্তে ৭ টাকা করা হলো তখন সিটিং এর নামে বেশ কিছু গণপরিবহন সর্বনি¤œ ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা শুরু করে।
আমাদের প্রশ্ন আইন মোতাবেক কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারিত না হয়ে গণপরিবহনগুলো তাদের ইচ্ছে মতো বাসস্টপ প্রতি ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করতে পারে? এখন যদি পূর্বের ভাড়া নৈরাজ্য নিরসন না করা হয় তাহলে ৬০ শতাংশ ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি মেনে পূর্বের ভাড়া নৈরাজ্যকে বৈধতা দেওয়া হবে কিনা? তাই আমাদের দাবি বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের পাশাপাশি পূর্বের ভাড়া নৈরাজ্যও নিরসন করা হোক।