কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা রিশোধে চার কোটি টাকা ঋণ চায় বিআরটিসি

0
282

আইনে বলা আছে, নিজের আয় থেকে বেতন হবে। তবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে স্বাভাবিক সময়েই সব ডিপোতে সময়মতো বেতন হয় না বিআরটিসির। এবার লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে চার কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়, বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সুদমুক্ত চার কোটি টাকা ঋণ বাবদ বরাদ্দের জন্য অর্থ বিভাগের শর্তানুযায়ী ঋণচুক্তিনামা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ঋণচুক্তি সম্পাদনের জন্য বিআরটিসির পক্ষে স্বাক্ষর প্রদানকারী হিসেবে বিআরটিসি পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ড. নাসিম আহমেদকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। এ অবস্থায় ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিআরটিসির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সংস্থাটির ২১টি ডিপোর মধ্যে মাত্র ৪-৫টির আয় ভালো। বাকিগুলোতে আগে থেকেই ৩-৯ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়ে আছে। বকেয়া রেখেই চলতি মাসের বেতন দেয়ার একটা চেষ্টা থাকে। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাস বন্ধ থাকায় এখন চলতি মাস হোক আর বকেয়া-সব বেতনই আটকে গেছে।

বিআরটিসি সূত্র জানায়, সংস্থাটি মাসে ১২ কোটি টাকা আয় করে। এর মধ্যে ৫–৬ কোটি টাকা চলে যায় অবসরে যাওয়া কর্মীদের সুবিধা পরিশোধে এবং রক্ষণাবেক্ষণে। আর মাসে বেতন লাগে ৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ আয়ের তুলনায় ব্যয় কিছুটা বেশি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + 20 =