শক্তি নেই বোধ আছে, শনিবার পর্যন্ত এইচডিইউতেই রাখা হবে ওয়াহিদাকে

0
288

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই আগামী শনিবার কাটা হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। সে পর্যন্ত তাকে হাসপাতালের এইচডিইউতেই (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) রাখা হবে।

বুধবার ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এ কথা জানান রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার ইউএনও ওয়াহিদার মাথার সেলাই না কাটা পর্যন্ত তাকে এচইডিইউতে রাখা হবে। তার ডান পাশটা অবশ অবস্থায় আছে। এছাড়া, সার্বিকভাবে সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। তার পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে, পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হচ্ছে বলেও জানান ডা. বদরুল।

হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদার ডান পাশে শক্তি নেই, কিন্তু বোধ আছে। চিমটি কেটে ব্যথা দিলে বুঝতে পারেন, স্পর্শ করলে বুঝতে পারেন। কিন্তু হাতের কোনো শক্তি নেই, হাত নাড়াতে পারেন না। অবস্থার উন্নতিতে ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপি চলার পর কতটুকু উন্নতি হয় সেটা সময় হলে বুঝা যাবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা।

পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।

গত শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল হক (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)। পরে আসাদুল হক, নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাস র‍্যাবের কাছে ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বাকীর করেন।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তারা চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় যান বলে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নবিরুল ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথায় আঘাত করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 8 =