কুড়িগ্রামের রৌমারী পঞ্চম দফা বন্যায় সর্বশান্ত কৃষক

0
379

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পঞ্চম দফা বন্যায় সর্ব শান্ত হয়েছে কৃষক। এবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই আষাঢ়ের শুরুতেই আগাম বর্ষা শুরু হয়। দফায় দফায় ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে আষাঢ় – শ্রাবণ ২ মাসে ৪ দফা বন্যা হয়। ৪ দফা বন্যায় সব্জি বাগান, বীজতলা, নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। প্রায় মাসাধিক কাল পর বানের পানি নেমে যায়। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষক রোপা আমন ধান রোপনে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। মাঠের পর মাঠ রোপা আমন ধান ক্ষেত যখন সবুজের সমারোহে ভরে উঠে, তখনই নেমে আসে সর্বনাশা পঞ্চম দফা বন্যা।

পঞ্চম দফা বন্যার প্রভাবে উপজেলার হাজার হাজার একর আমন ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয় শেষ সময়ের বন্যায় বীচতলা, সবজি ক্ষেত, ছিটা-ধান, মাসকলাই, খেসারী কলাই, মুগডালসহ অসংখ্য ফসলের মাঠনষ্ট হয়ে গেছে। এনিয়ে রৌমারী সদর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা মোঃ আবুল হাশেম বলেন, আমার ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদের ফৌজদারী বেড়িবাঁধ লাগোয়া। চতুর্থ দফা বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং বাঁধটি উন্মুক্ত থাকায় পঞ্চম দফা বন্যায় অতি সহজে আমার দায়িত্বরত এলাকাটির শতশত একর ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।


এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো,শাহরিয়ার হেসেন জানান, এবারের বন্যায় ৫৫০ হেক্টর রোপা আমন, ৪০ হেক্টর মাসকলাই ও ২০ হেক্টর সব্জি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু রোপা আমন রোপনের সময় শেষ, তাই নতুন করে ধান রোপনে কৃষি সহায়তা না থাকলেও রবিশস্যের জন্য কৃষককে সরকারী সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। তবে এনিয়ে কৃষক মোঃ আব্দল করিম, জাকারিয়া , হাশেম, ফজলুল হক, ময়য়নাল আক্ষেপ করে বলেন , আমাগো খোজ খবরি নেওনের কেরা আছে। আমরা কৃষক মানুষ আমরা মাটি চইসা কষ্টে বাইচা থাকি।

আমাগো বড় জালা বন্যার পানি। ফৌজদারী বাঁধটা হক্ত কইরা বাইন্দা দিলে আর বানের পানি আইতনা আমরাও বালা থাকতাম। কৃষকের এমন আকুর্তি কে শোনে। তবে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী রৌমারী শহর রক্ষা বাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হউক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 + twenty =