আদিতমারিতে অবৈধভাবে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করার অভিযোগ

0
560

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর এলাকায় একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই এলাকার দীনবন্ধু বর্মন এ ঘটনায় স্থানীয় আদিতমারি থানা ও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় দীনবন্ধুর পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মদনপুর মৌজার ৩২০ নম্বর দাগের ৭শতক জমি দীনবন্ধু বর্মন দলিল ও কবলা মূলে মালিক। তার জমির সীমানা নির্ধারনের প্রয়োজন হলে ২১ আগষ্ট সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করান। পরিমাপের পর তার কবলা মূলে প্রাপ্য জমির কিছু অংশ প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদেরের দখলীয় জমি নির্ধারন হয়।

এ কারনে আব্দুল কাদের সীমানা মান্য করেননি। এরপর আবারও দীনবন্ধু বর্মন ও আব্দুল কাদের মিলে গত ৪ সেপ্টেম্বর জমি পরিমান করেন তারপর জমি পরিমাপের ফলাফল একই হলে আবারও আব্দুল কাদের জমির সীমানা মান্য করেননি । এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য , বিট পুলিশিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে আবারও জমি পরিমাপ হয় এবং সীমানা নির্ধারন হয়। ওই দিন সকলের উপস্থিতিতে পলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলীর নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারন করে পিলার স্থাপন করা হয়। তারপর কিছুদিন না যেতেই আব্দুল কাদের সীমানা নির্ধারনের পিলার উপড়ে ফেলেন এবং দীনবন্ধুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকী প্রদর্শন করেন। এ কারনেই দিনবন্ধুর পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন।


প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ (৬৫) বলেন, জমিটির বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, বিট পুলিশিং এর দ্বায়িত্বে থাকা অফিসার,স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আমরা এলাকাবাসী গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে সীমানা নির্ধারন করে দেই। সেদিন আব্দুল কাদের সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলো এ কারনে আমরা সকলে সীমানা নির্ধারন করে দীনবন্ধুকে তার জমিটি বুঝিয়ে দেই। তারপর কিছুদিন পর হঠাৎ আব্দুল কাদের সীমানা পিলার উপড়ে ফেলেন । এই কাজ তিনি কেনো করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
পলাশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, দীনবন্ধু ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর চেয়ারম্যান,আমি ইউপি সদস্য, বিট পুলিশিং এর দ্বায়িত্বে থাকা অফিসার মিজানুর রহমান,গ্রামের মান্যগন্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় ৫’শতাধিক লোকজন সহ সালিশ বৈঠক করি এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দীনবন্ধুকে তার জমি সীমানা নির্ধারন করে বুঝিয়ে দেই । তার কিছুদিন না যেতেই আবদুল কাদের পেশীশক্তি প্রয়োগ করে সীমানা পিলার উপরিয়ে ফেলে।


এ বিষয়ে দীনবন্ধু বলেন, আমার দলিল ও কবলা মূলে জমির কিছু অংশ আব্দুল কাদের দখল করেছিলো। আমি স্থানীয় থানা এবং ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিলে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে এর সমাধান করে আমাকে আমার জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয় । তার কিছুদিন পর আব্দুল কাদের সীমানা পিলার উপরিয়ে ফেলে এবং আমাকে গালিগালাজ করে মিথ্যা মামলায় ফাঁেিয় দিবে মর্মে হুমকি দেন। আমি পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।


এ বিষয়ে আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজে হননি।
পলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ শওকত আলী বলেন, দীনবন্ধু লিখিত অভিযোগ করার কারনে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,বিট পুলিশিং এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মিজানুর রহমান ও গন্যমান্য ব্যাক্তির সমন্বয়ে তাদের বিষয়টি সমাধান করে দীনবন্ধুর জমি বুঝিয়ে দেই। সেই সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তে আব্দুল কাদেরের সম্মতি ছিলো। হঠাৎ তিনি কেনো আবারও জমি দখল করার চেষ্ঠা করছে তা আমার জানা নাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen + 6 =