ছয়বার গ্রেফতারের পর ফের জাল টাকা কারবারে হুমায়ুন

0
500

জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করে আগে র‌্যাব-পুলিশের হাতে ছয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন হুমায়ুন কবির (৪৭)। তবে প্রতিবারই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের জড়িয়ে পড়েন একই কাজে। সর্বশেষ দেড় বছর আগে জেল থেকে বেরিয়ে আরও বড় পরিসরে জাল টাকা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা জালে সপ্তমবারের মতো ধরা পড়েছেন জাল টাকার কারবারি হুমায়ুন কবির। রোববার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নূরজাহান রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ।

ডিবি গুলশান পরিচালিত এ অভিযানে কারখানার মালিক হুমায়ুন কবিরসহ আটক অন্যরা হলেন- জামাল উদ্দিন (৪২), তাসলিমা আক্তার (৩০) ও সুখী আক্তার (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি আসুস ল্যাপটপ, চারটি ইপসন প্রিন্টার, কয়েকটি কাটার, অনেকগুলো স্ক্রিন, ডাইস, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন রঙের কালি, আঠা, বিপুল পরিমাণের জলছাপ যুক্ত বিশেষ কাগজ, বিপুল পরিমাণে অন্যান্য সামগ্রী ও সফট ডাটা/কপি উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে আনুমানিক চার কোটি জাল টাকা তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া বাসার বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন বান্ডিলে ৪৯ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ৬ তলা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কারখানার মালিক হুমায়ুন কবির। তাকেসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাল টাকা তৈরির দায়ে হুমায়ুন এর আগেও ছয়বার র‌্যাব, ডিবি ও থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

ডিসি) মশিউর রহমান জানান, জামালের নামেও রয়েছে জাল টাকার তৈরির দুটি মামলা। চক্রটি সারা বছর ধরেই জাল টাকা তৈরি করলেও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরে জোরেশোরে জাল টাকা তৈরির কাজ করে আসছিলেন।

কারখানার মালিক হুমায়ুন আটক দুই নারীকে ১৫ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকায় চাকরি দিয়েছিলেন। আটক তাসলিমা আখতারের স্বামী সাইফুল ইসলাম গত জানুয়ারি মাসে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় আছেন।

জাল টাকার ব্যবসায়ী হুমায়ুন দেড় বছর আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে আরও বড় আকারের জাল টাকার কারখানা স্থাপন করেন। তার ভাই কাওসারও একজন জাল টাকার ব্যবসায়ী। বর্তমানে কাওসার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছে।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, এ চক্রটি ঢাকায় বসে জাল টাকা তৈরি করলেও দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ১০ হাজার টাকায় প্রতি বান্ডিল জাল টাকা বিক্রি করতেন।

তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − five =