সৈয়দ মোঃ রাসেল: পটুয়াখালীর কলাপড়ার সংসদীয় নর্বাচনী এলাকা রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার।
কোড়ালিয়া লঞ্চঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান,নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার(২২.১০.২০২০)বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়।
স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ দেড় ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান শুরু করে দুইটি স্পিড বোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পাঁচজন নিখোঁজ রয়ে যায়।
দুর্ঘটনার সময় নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি ছিল।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪০ ঘণ্টার অভিযানে শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আলাদা সময়ে মরদেহ পাঁচটি উদ্ধার করা হয়।
কাকড়ার চর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। অন্য চার জনের মরদেহ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত মৃত্যু পাঁচজন হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ সদস্য মো. মহিবুল্লাহ ও কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। সবার বাড়ি পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ জানান, সকাল থেকে মরদেহগুলো আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মরদেহগুলো কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা হয়েছে।
শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মরদেহ ফুলে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি, তাই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়।
উদ্ধার হওয়া একাধিক যাত্রী জানান, আমরা বারবার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছি; কিন্তু সে আমাদের কথা শোনেনি।